ঘুষ নিয়ে ঘুষা-ঘুষি

সেদিন এক বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিল। দেশ থেকে এই মাত্র ফিরেছে। জমিজমা সংক্রান্ত কিছু কাজ ছিল। বলল দলিল প্রতি ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। এটাই অলিখিত নিয়ম। 

বেশ কয়েক বছর আগে এক প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন দেশে এমনকি চৌকিদারের চাকরি পেতে এক লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। তাই চাকরি পেয়ে সবাই প্রথমেই ঘুষের টাকা ঘুষে উসুল করতে চায়। এ যেন বহমান নদী। আমি চাকরি পেতে ঘুষ দিয়েছি এখন তোমরা ঘুষ দিয়ে আমার সেই ক্ষতি পুষিয়ে দাও। 

দেশে নদী বা ব্রীজ নিলামে ইজারা দেবার প্রথা আছে। এরপর তারা সেতু দিয়ে গাড়ি গেল টোল আদায় করে। ইজারাদাররা আবার টাকার বিনিময়ে অন্যদের মাছ ধরতে দেয়।

সরকার চাইলে বিভিন্ন চাকরি, বিশেষ করে যেখানে ঘুষের সুযোগ বেশি, নিলামে বিক্রি করতে পারে। তাতে ঘুষের টাকা অন্যের পকেটে না গিয়ে সরকারি তহবিলে জমা হবে। আর চাকরি হবে বিনা বেতনে। তবে সেবা (যদি সেটা সেবা বলা যায়) যাতে মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকে সেজন্য সরকার আগে থেকেই তার সর্বোচ্চ বাজার মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারে। এতে যেমন ঘুষখোরদের সংখ্যা কমবে, কাজও অনেক স্বচ্ছ হবে।

মস্কো, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা