আশা
একসময় বিভিন্ন অনলাইন আড্ডা হত। আজকাল সেসব প্রায় প্রাগৈতিহাসিক। একসময় বিভিন্ন মাধ্যমে অনেকের সাথে যোগাযোগ হত। এখন সেটাও প্রায় শূন্যের কোঠায়। এতে অবশ্য ভালোই হয়েছে। একাকীত্বের ঘনত্ব ও গভীরতা দুটোই বাড়ছে। সেদিন দেশ থেকে এক বন্ধু অনুযোগ করল
আজকাল তুমি কী সব লেখ তাতে সবাই বিভ্রান্ত। তুমি বাম না ডান, ধার্মিক না নাস্তিক কেউ কিছু বুঝতে পারে না। অনেকেই তাই গালিগালাজ করে।
তাই?
করে তো বললাম।
তার মানে ওরা আমার লেখা পড়ে। সেটা কিন্তু ভালো খবর।
কিন্তু গালি দেয় যে।
দেখ আমি কিছু না বলার চেয়ে গালি দেয়া ভাল কারণ একমাত্র মৃতদের সম্পর্কে নাকি খারাপ বলতে নেই। আমি যে বেঁচে আছি এই গালি তো তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
তারমানে এসব নিয়ে তোমার মাথাব্যথা নেই, বন্ধুদের মতামতের কোন মূল্য নেই?
যাই বল, দু'টো ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
কোন ব্যাপারে?
এই হাড্ডির ব্যামো, চুলের ব্যথা, পাইকারি খুচরা হাজারটা অসুখ সমাধি এ সব এক পলকে সারিয়ে দেবে এ ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নেই।
আর?
এখন যারা সমালোচনা করে, গালি দেয় মরার পরে অনেক ভালো ভালো কথা বলবে। জান তো সব ভালো যার শেষ ভালো। তাই নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোন উদ্বেগ নেই।
মস্কো, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
Comments
Post a Comment