চরিত্র

এমনকি ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের আগে থেকেই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ বাতাসে ভেসে বেড়াত, তবে বর্তমানে দুর্গা পূজা এলে নিরাকার সাম্প্রদায়িকতা সাকার হয়। আমার বিশ্বাস এই সমস্যা বাংলাদেশে যতটা না সাম্প্রদায়িক তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক। বাংলাদেশের কোন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ই দেশ, জাতি বা সমাজের জন্য হুমকি নয়। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে যেকোন মুহূর্তে এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। তারপরেও সেটা করে না একান্তই রাজনৈতিক বিবেচনায়। রাজনৈতিক দল বা এলিট শ্রেণী কিছু কিছু সমস্যা জিইয়ে রাখে প্রয়োজনে তুরুপের তাসের মত সেটা ব্যবহার করার জন্য, দরকষাকষি করার জন্য। এই যে চার দিনের পূজায় মাত্র একদিন ছুটি, তাও আবার দশমীর দিনে, সেটাও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে। ঘুষখোর ও দুর্নীতিবাজদের প্রতি চরম ক্ষমাশীল আমাদের সরকারগুলোকে বিভিন্ন ধরণের সংখ্যালঘুদের প্রতি কঠোর অবস্থান নিয়ে নিজেদের "শক্তের ভক্ত নরমের যম" উপাধির সার্থকতা প্রমাণ করতে হয়। সেটা হয়তো ভোটের বাক্সে দুটো ভোট বেশি এনে দেয় কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর সততা নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগও করে দেয়।

রোস্তভ ভেলিকির পথে, ২১ অক্টোবর ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা