গণতন্ত্র

অনেক পুরানো এক গল্প মনে পড়ল। এক অবস্থাপন্ন গৃহস্থের বাড়িতে অনেকেই কামলা। ঐ কামলাদের মধ্যে একজন ছিল কানা। একদিন গৃহস্থ মাঠে গেল কামলারা কেমন কাজ করছে সেটা দেখতে। 
মইটা এ ভাবে কে রাখল? 
কানা। 
এখানে আগাছা কাটেনি কে? 
কানা। 
গৃহস্থ যেখানেই ভুল ধরে সবাই বলে এটা কানার কাজ। 
শোন সব ভুল যদি কানাই করে তার মানে তো সে একাই কাজ করছে। তোমাদের বেতন দিয়ে রাখব কোন দুঃখে? 

সামন্ততান্ত্রিক বিশ্বে জমির মালিক চাইলেই এদের ছাঁটাই করতে পারে। গণতান্ত্রিক বিশ্বে সংখ্যার জোরে মালিককেও দরোজা দেখানোর সুযোগ থাকে।

পশ্চিমা নেতাদের কোন কিছু জিজ্ঞেস করলেই বলে পুতিনের দোষ। তাহলে তাদের বেতন দিয়ে পুষে কার কী লাভ? তাছাড়া তারা যেভাবে পুতিনকে সরানোর জন্য আদা জল খেয়ে লেগেছে, তারা কি কখনও ভেবে দেখেছে পুতিন না থাকলে তারা দোষ দেবে কাকে? একেই বলে যে গাছে বসে আছ সেই গাছেরই গোঁড়া কাটা। 

সমস্যা হল এখানে ওরা ফাঁকিবাজ কর্মী আর পুতিন কানার ভূমিকায়। মালিক নেই। তাহলে? এখানে যদি কোন ভাবে ঈশ্বরকে সেট করা যায় তাহলে খেলা জমে। ফাঁকিবাজ বিধায় তিনি পশ্চিমা নেতাদের চাকরিচ্যুত করতে পারেন অথবা ওরা সংখ্যার জোরে ঈশ্বরকে গদিচ্যুত করতে পারে। কানা দূর থেকে এক চোখ দিয়ে সেই খেলা দেখতে পারে।

মস্কো, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা