নকলে ফেল

জীবনে কখনও নকল করিনি। আসলে ছাত্রও জীবনে নকল করাকে অনেকটা পাপ বলেই মনে করতাম। এই নকল না করা নিয়ে অবশ্য কখনও কোন আক্ষেপও ছিল না। তবে আজ মনে হল নকল করতে শেখাটাও জীবনে গুরুত্বপূর্ণ, সেদিক থেকে আমি অজ্ঞই রয়ে গেছি।

প্রীতম যেদিন দেশ থেকে দুবনা আসে, ওর ওখানে গেছিলাম দেখা করতে। ও বলল

স্যার, একটু খিচুড়ি বসাই, একসাথে খাই।

আমি যে আত্মসমালোচনা করতে খুব একটা পছন্দ করি তা নয় তবে একটা বিষয়ে নিশ্চিত - পৃথিবীর যে কেউই আমার চেয়ে ভালো রান্না করে। তাই লোভ সামলাতে পারলাম না। তাছাড়া খিচুড়ি নিজেও করতে পারি না। আমার অনেক দোষের একটা - অমনোযোগিতা, মানে যেকোনো কিছু করতে গিয়ে, যেকোনো আড্ডায় বসে নিজের চিন্তায় ডুবে যেতে পারি আবার কোন জিনিস মনোযোগ দিয়ে দেখতে পারি। তাই আমি বেশ গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য করলাম খিচুড়ি রান্নার পদ্ধতি। যেহেতু খাবারটা ভালো লেগেছিল তাই তখনই ঠিক করলাম এটা বাসায় করব। আজ সেটাই করলাম। তবে রেজাল্ট দেখে মনে হল আমি নকল করাটাও ঠিক মত শিখতে পারিনি, নকল পরীক্ষায় ফেল করেছি। তবে এতে করে আমার আরেকটা থিওরি প্রমাণিত হল - যে কেউই আমার চেয়ে ভালো রান্না করে।

দুবনা, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা