আনন্দ

গতকাল সকাল সকাল অফিসে যাবার তাড়া ছিল, তাই ব্রেকফাস্ট করতে করতেই ভাত আর মাংস বসিয়ে দিলাম। ব্রেকফাস্টের পরে স্নান করতে যাওয়ার সময় গুলিয়াকে বললাম ওগুলোর দিকে একটু খেয়াল রাখতে। স্নানের শেষ পর্যায়ে পোড়া গন্ধ নক না করেই বাথরুমে ঢুকে পড়ল। গরুটা মাঠে মারা গেল মনে করে মনটা একটু খারাপ হতে শুরু করল। তবে কিছুক্ষণ পরেই বুঝলাম আসলে ভাতের কপাল পুড়েছে। বাথরুম থেকে বেরুতেই গুলিয়া বলল কুকুরদের নিয়ে ব্যস্ত থাকায় চুল্লীর কথা ভুলে গেছিল। আমার কিন্তু ভালই লাগলো। ভাত মাংস শুধু আমারই অবাধ্য নয়, আমার বউকেও এক হাত নিতে ভুলে না। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল আমার কিছু পুড়লে নির্দ্বিধায় বলি যে আমি ইচ্ছে করেই এই স্পেশাল রেসিপিটা ইউজ করেছি। বেচেরা গুলিয়া এখনও অজুহাত খোঁজে। ভাত মাংসই জীবনের শেষ কথা নয়।

দুবনা, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা