অন্ধবিশ্বাস

১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট আমেরিকা যখন হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা ফেলে সেটা না ছিল জাপানকে যুদ্ধে হারানোর একমাত্র উপায়, না ছিল আমেরিকার নিরাপত্তার প্রশ্ন। সেটা ছিল অন্যদের, বিশেষ করে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি সতর্ক বার্তা। এখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কথা বলছেন, আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছেন রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটোর যুদ্ধের কথা। এর প্রেক্ষিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন তাদের শক্তি ও সামর্থ্য আছে এসব দেশে এমন আঘাত হানার যার ফলাফল কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। এই নিয়ে পশ্চিমারা গোস্বা করেছে যে পুতিন পারমাণবিক যুদ্ধের ভয় দেখাচ্ছেন। পশ্চিমা বিশ্বের সমস্যা হল তারা নিজেদের মত ও পথকে এতটাই অন্ধভাবে বিশ্বাস করে, নিজেদের কাজের ন্যায্যতার ব্যাপারে এতটাই আস্থাশীল যে এর বিরুদ্ধে যেকোন প্রতিবাদ, তাদের মত ও পথকে গ্রহণ না করার যেকোন প্রচেষ্টা তারা অগণতান্ত্রিক, আধুনিকতার বিরোধী, অমানবিক বলে মনে করে। আধুনিকতা ও মানবতার হোলসেল লাইসেন্সধারী এসব নেতারা শুধু এশিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো নয়, পশ্চিমা বিশ্বের সাধারণ মানুষের জন্য বিপদজনক। কি বলা যায় এসব নেতা ও তাদের অনুসারীদের? একটু বাস্তববাদী হবার চেষ্টা করুন। যদি যুদ্ধ করতে চান যেকোন ধরণের ফলাফলের জন্য প্রস্তুত থাকুন। যুদ্ধ অন্যদের ধোঁকা দিয়ে বিশ্ব জয় নয় যাতে আপনারা পারদর্শী, যুদ্ধ মৃত্যু মৃত্যু খেলা। 

দুবনা, ০২ মার্চ ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা