শান্তি

রাত প্রায় নয়টা। কিছুক্ষণ আগে ভোলগার তীর থেকে ছবি তুলে ঘরে ফিরেছি। খবরে ক্রকুস হলে সন্ত্রাসী আক্রমণের খবর দিচ্ছে। শুনছি আর ছবি এডিট করছি। এমন সময় মনিকার ফোন এলো। ওর সাথে অবশ্য আজ দিনের বেলায়ও কথা হয়েছে।

পাপ, আমরা সবাই ভালো। ক্রিস্টিনাও বাসায় ফিরছে।

একটু অবাক হলাম। তাই জিজ্ঞেস করলাম

হঠাৎ এই খবর?
না, মানে ক্রকুস হলে আক্রমণ হয়েছে। অনেকেই ফোন করছে। জানতে চাইছে কেমন আছি।

মনে হল মনিকা একটু লজ্জিত হয়েই বলল। আমিও ওদের ফোন না করায় একটু লজ্জিত হলাম। আসলে আমার সব সময় মনে হয় কোন বিপদে পড়লে ঠিক ফোন করবে।

তুই বাসায়?
না। মস্কো সিটিতে। একটা ফটো সেশন ছিল। এখন ফিরছি।
ক্রিস্টিনা?
ও ভোকাল থেকে ফিরছে।
আচ্ছা।
তোমাদের সব ঠিক তো?
হ্যাঁ। আন্তন বাইরে গেল। আমরা বাসায়।

সেভা বাসায়ই থাকে। তাই ওর কথা আর জিজ্ঞেস করলাম না। ইতিমধ্যে আহসান ফোন করল। ভজন জানতে চাইল আমাদের অবস্থা। অপটিমিস্ট হবার এই এক যন্ত্রণা। কখনই বিপদ দেখতে পাই না। এটা হয়তো ঘুমের সমস্যার কারণে। লোকে বলে মরার পরে নাকি শান্তিতে ঘুমানো যায়। হয়তো এ কারণেই মৃত্যুকে আর তত ভয় পাই না।

বিপ্লবের পরিবেশ সম্পর্কে লেনিন বলেছিলেন ধনীরা পারে না, গরীবেরা থাকতে চায় না। এখন সব উল্টো। ধনীরা শান্তি চায় না, গরীবেরা শান্তিতে থাকতে পারে না। সবাই তাই একযোগে বিশাল যুদ্ধের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। হয়তো ওখানেই শান্তি।

দুবনা, ২৩ মার্চ ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা