প্রশ্ন

হিজাব না পরায় ঢাকায় এক বিদেশি মহিলাকে হেনস্থা করার ভিডিও দেখলাম ফেসবুকে। প্রথম আলো জানাল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য পর্দা বাধ্যতামূলক করা হবে। কেউ একজন বলল পূজা করতে চাইলে কোলকাতা গিয়ে করুন। স্বৈরাচারের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল অন্যের উপর নিজের মতামত চাপিয়ে দেয়া। বর্তমানে যে পরিস্থিতি দেশে বিদ্যমান সেটা যদি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় তাহলে সেই স্বৈরাচার বিগত দিনের সব রেকর্ড ম্লান করে দেবে। নিজেদের প্রগতিশীল, শিক্ষিত, মুক্তমনা বলে দাবি করেন এমন যেসব মানুষ এই মধ্যযুগীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম হওয়ার পথ সুগম করে দিলেন তারা জনগণকে কী বলবেন? দেশের জনগণ কিন্তু এমনটি কখনোই চায়নি। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ যাদের সংসারে দুবেলা অন্ন মেয়েদের কাজের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। আপনারা না হয় ইউরোপ আমেরিকায় পাড়ি জমাবেন বা সেখানেই বসে আছেন। দেশের কোটি কোটি মানুষ যারা এখনও জারি সারি গায় তাদের কথা কি ভেবেছেন কখনও? একদল ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে নিজেদের খায়েশ মেটায় আর আপনারা সেটা করেন জনগণের দোহাই দিয়ে। কিন্তু না ঈশ্বর না জনগণ কেউই আপনাদের তাদের জন্য কিছু করতে বলেনি। বরং তারা চায় আপনারা তাদের নিজেদের মত থাকতে দিন, নিজেদের মত বাঁচতে দিন। আর কবে অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করতে শিখবেন?

দুবনা, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

পরিমল

নেতা

শুভ নববর্ষ ১৪৩১