দেউলিয়াপনা
আজকাল পশ্চিমা বিশ্ব সমর্থিত গণতন্ত্রের একটিই অর্থ - ভোটের মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থীর বিজয়। ভোটের স্বচ্ছতা, অস্বচ্ছতা কোন বিষয় নয়। ইউক্রেনে নিজেদের প্রার্থী ইউশেঙ্কোকে বিজয়ী করে আনতে সমস্ত রীতিনীতি লঙ্ঘন করে তৃতীয় বার ভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। ইনুকোভিচকে প্রতিবাদ মিছিলের উপর পুলিশের হস্তক্ষেপ থেকে বিরত রেখে অগণতান্ত্রিক ভাবে প্রতিপক্ষকে ক্ষমতায় আনলেও পরে তাদের দ্বারাই দনবাসে সাধারণ মানুষের উপর কামান ও বিমান হামলা করা হয়েছিল। জর্জিয়ায় এভাবেই সাকাশভিলি প্রতিপক্ষকে দমন করেছিল। এবারের জর্জিয়ায় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ ভাবে হয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সেই রায় দিলেও পশ্চিমা বিশ্ব ভোটের ফলাফলকে স্বীকৃতি না দেবার সু্যোগ খুঁজছে যদিও সবাই জানত যেকোন নিরপেক্ষ নির্বাচনে সরকারি দল জিতবে। তাই জনমত নয়, নিজেদের স্বার্থ - এটাই পশ্চিমা বিশ্বের গণতন্ত্র স্বীকার করা না করার একমাত্র ক্রাইটেরিয়া। জনগণ বিপক্ষে ভোট দিলে তারা ভাবে জনগণ যথাযথ গণতন্ত্রীমনা নয়। আমাদের দেশ ব্যতিক্রম নয়। বিগত কয়েক দশকের ঘটনাবলী একটাই শিক্ষা দেয় - যারা যত বেশি গণতন্ত্রের কথা বলে অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় আসে পরে তারা তত বেশি স্বৈরাচারী হয়। অগণতান্ত্রিক পথে যারা ক্ষমতায় আসে তাদের কাছে গণতন্ত্র আশা করা বাতুলতা। এখন যারা বলছেন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের একটাই লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র কায়েম ও সেটা আশা করছেন তারা আসলে তাদের রাজনৈতিক বালখিল্যতা ও দেউলিয়াপনার পরিচয় দিচ্ছেন।
দুবনা, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
Comments
Post a Comment