আইন
একসময় অনেকেই ভোল্টেয়ারের উদ্ধৃতি দিয়ে ফেসবুকে লিখত "তোমার সাথে আমি একমত না হতে পারি, কিন্তু তোমার কথা বলার অধিকার রক্ষায় আমি জীবন দিতেও পিছপা হব না।" এখন অবশ্য কেউ সেসব বলে না। এই যে ছাত্র লীগ নিষিদ্ধ হল তার পরেও সবাই নীরব। ছাত্র লীগ অনেক অপরাধে অপরাধী সে ব্যাপারে কোন দ্বিধা নেই কিন্তু এভাবে একটা সংগঠন নিষিদ্ধ করা আসলে অন্যান্য সংগঠন নিষিদ্ধ করার স্টেজ রিহার্সাল। দেশে যদি জরুরি অবস্থা জারি না থাকে তাহলে কোন সংগঠন নিষিদ্ধ করার আইনি পদ্ধতি আছে। চাইলাম আর নিষিদ্ধ করলাম এটা তো স্বৈরাচার। আজ আপনারা যারা এটা নীরবে সয়ে গেলেন সেই বিএনপি, সিপিবি, ছাত্র দল, ছাত্র ইউনিয়ন ইত্যাদি কিন্তু তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী, পরবর্তী টার্গেট। যখন আপনাদের উপর নিষেধাজ্ঞা নেমে আসবে তখন কিন্তু আর আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ থাকবে না। অনেক সময় তেতো ওষুধ খেতে হয়। সেটা ভেবেই না হয় এভাবে কোন সংগঠন নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদ করুন। এতে অন্তত বিবেকের কাছে সৎ থাকতে পারবেন আর কেন আপনাকে নিষিদ্ধ করা হল এই দাবি তুলে আইনি লড়াইয়ের চেষ্টা করতে পারবেন। একবার বেআইনি ভাবে কোন কিছু করার সুযোগ সৃষ্টি হলে তা বারবার ব্যবহৃত হবে সেটাই ইতিহাসের শিক্ষা।
দুবনা, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
Comments
Post a Comment