মালিক
বৃটেনে লেবার সরকার বর্তমানের অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য দায়ী করছে কনজারভেটিভ পার্টিকে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিজয়ের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে উৎসবের আয়োজন করার জন্য অর্থ দানের পাশাপাশি কিয়েভের ফ্যাসিবাদী সরকারকে (যা কিয়েভ নিজেও লুকায় না) বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে। বাইডেন ও হ্যারিস বর্তমান প্রশাসনের সব ব্যর্থতার দায় ট্রাম্পের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছেন। মানবতার বাণী জপে দেশে দেশে সরকার উৎখাতের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করে এই মানুষকেই আবার আমেরিকা অসীম দুর্দশায় ফেলছে। হাসিনা সরকার একদিকে ইসলামী জঙ্গিবাদের সাথে লড়াই করে অন্যদিকে হেফাজতের হেফাজত করেছে। ইউনূস সরকার তাদের ব্যর্থতা হাসিনার কাঁধে চাপিয়ে দিচ্ছে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্ষমতা দখল করে নিজেরাই এখন স্বৈরাচারী আচরণ করছে। এক কথায় সবাই তাদের ব্যর্থতার জন্য দায়ী করছে পূর্বপুরুষদের আর একই সাথে পরস্পরবিরোধী বিভিন্ন কাজে লিপ্ত হচ্ছে। কেউ কেউ রিসেট বাটন চাপছে, অন্যেরা তাদের সেই ইচ্ছেটা বহু কষ্টে চেপে রাখছে। মানুষের মত এত পরস্পরবিরোধী জীব কি আর আছে? যতদূর জানি দলবদ্ধ যেকোনো জীব দলের সবচেয়ে শক্তিশালী (হয়তোবা বিজ্ঞ) সদস্যকে নেতা নির্বাচন করে, মানুষ চেষ্টা করে দুর্বলদের নেতৃত্বে বসিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করতে। বুদ্ধি নয়, চাতুর্যই রাজনীতির চালিকাশক্তি। এমনি কি আর বলে তুমি সর্প হয়ে দংশন কর ওঝা হয়ে ঝাড়। তবে এদের কাজের ক্রম উল্টো - আগে মাথায় হাত বুলিয়ে পরে সর্বস্বান্ত করা।
দুবনা, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
দুবনা, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
Comments
Post a Comment