স্বাধীনতা

ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, মিশর যেসব দেশই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে তারাই পশ্চিমা বিশ্বের বিরাগভাজন হয়েছে। বাংলাদেশও বাদ যায়নি। স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা, মানবতা ইত্যাদি গাল ভরা বুলি যতই আওড়াক না কেন অন্যদের স্বাধীনতায় এরা বিশ্বাস করে না। এক সময় এরাই খৃষ্টান ধর্মের বাণী দিয়ে সারা বিশ্বকে পদানত করেছিল, আজ ঠিক সেটাই করছে মানবতার ঘুমপাড়ানি গান শুনিয়ে। শুধু বোতল বদল হয়েছে, মদ আগেরটাই আছে। এটা ঠিক তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই স্বৈরাচারী ব্যবস্থা কায়েম হয়েছে কিন্তু সমস্যা এসব দেশের নেতাদের স্বৈরাচারী আচরণ নয়, সমস্যা এদের পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নত না হওয়া। ইতিহাস বলে এরা হাজার গুণ স্বৈরাচারী কিন্তু অনুগত যে কাউকে সাদরে গ্রহণ করে এমনকি প্রয়োজনে আল কায়েদা, ইসলামিক স্টেটস এর মত প্রচন্ড অমানবিক সংগঠন গড়ে তুলে। তাই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই যদি করতেই হয় নিজেদের শক্তিতে করুন, এদের সাহায্য নিয়ে নয়। তাতে এক স্বৈরাচারের পরিবর্তে আরেক স্বৈরাচার আসবে। সত্যিকারের জনপ্রিয় সরকার এদের দরকার নেই, কারণ এসব সরকার দেশের স্বার্থে কাজ করে, তাকে ম্যানিপুলেট করা যায় না।

মস্কো, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

নেতা

পরিমল

শুভ নববর্ষ ১৪৩১