কেন

ঘুম থেকে উঠেই রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভের 
বাংলাদেশ সফরের খবর দেখলাম। রাশিয়ার বিভিন্ন চ্যানেলে লাভরভের শেখা হাসিনার সাথে সাক্ষাতের খবর, ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্প অর্পণ, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাংদাবিক সম্মেলনের খবরও উঠে এল। যদি ভুল না করি সোভিয়েত ইউনিয়ন বা রাশিয়ার এত উঁচু পর্যায়ের কোন কর্মকর্তার এটাই প্রথম বাংলাদেশ ভ্রমণ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরবর্তী উন্নয়নে এমনকি এখনও পর্যন্ত রাশিয়া যেভাবে আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় সেই বিবেচনায় এই
সফর নিঃসন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  

এই খবর যখন দেখছিলাম তখন আমার মনে পড়েছিল মহাভারতের কথা। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ঠিক আগের মুহূর্তে কৌরব আর পাণ্ডব পক্ষ থেকে একের পর এক দূত যাচ্ছিল ভারতের বিভিন্ন রাজন্যবর্গের কাছে আসন্ন যুদ্ধে সমর্থন লাভের জন্য। তবে তখন অধিকাংশ রাজ্যই স্বাধীন ছিল এবং তারা নিজের খুশি মত পক্ষ বা বিপক্ষে যোগ দিতে পারত। 
বর্তমানে অধিকাংশ দেশেরই সেই স্বাধীনতা নেই ফলে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় অনেককেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে।
তাহলে এই যে এত গণতন্ত্র, এত স্বাধীনতার কথা আমরা বলি, মানবাধিকার ও অন্যান্য আদর্শের কথা বলে মানুষের কান ঝালাপালা করে ফেলি - তারপরেও আমরা কেন স্বাধীন হতে পারি না। 

এজন্যেই আমাদের দরকার বহুকেন্দ্রিক বিশ্ব যেখানে শুধু বড় দেশ নয় ছোট দেশগুলোয় নিজের জাতীয় স্বার্থে নিজের মত করে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। যখন এক সময়ের প্রভুরা আগের মতই তাদের মত আমাদের কাঁধে চাপিয়ে দিতে পারবে না। তবে সব কিছুর জন্যই মূল্য দিতে হয়। আমরা কি প্রস্তুত? 

দুবনা, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা