উন্নয়ন

ছাত্রজীবনে যেসব বন্ধু আমেরিকায় বেড়াতে গেছে বা যাদের আত্মীয় স্বজন সেদেশে থাকত, ওদের মুখে শুনেছি সেখানে ক্রেডিট কার্ডের স্বাস্থ্য দিয়ে বিবেচনা করা হয় কে সফল আর কে ব্যর্থ এই জীবনে। এখন সেখানে কীভবে সাফল্য আর ব্যর্থতা মাপা হয় সেটা জানি না। তবে দেশে এখন যে অর্থই একমাত্র অর্থময় সেটা বুঝতে পারি। উন্নয়নের মূল কথাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। কারা সেই রিজার্ভকে খাইয়ে পরিয়ে মোটা তাজা করে? অল্প শিক্ষিত বা লেখাপড়া না জানা সেই সব মানুষ যারা আরব দেশগুলোতে কাজ করে আর একই ধরণের নারীরা যারা গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করে। অর্থাৎ দেশে যে উন্নয়নের মহোৎসব চলছে তার জ্বালানি থেকে শুরু করে চাল ডাল সব কিছু যোগান দিচ্ছে এই অল্প শিক্ষিত মানুষেরা। পক্ষান্তরে বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করা মেধাবী তরুণ তরুণীরা হয় বিদেশে গিয়ে ক্যারিয়ার গড়ছে নয়তো দেশে চাকরি করে টাকা পয়সা, ছেলেমেয়ে সব বিদেশে পাচার করছে। এটা বাংলাদেশের ওভার অল চিত্র। তাই ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষায়তন না করে টাঁকশাল করতে চাইবেন তাতে অবাক হবার কী আছে? দল মত নির্বিশেষে আজ দেশের রাজনীতির ভেক্টরের দিক পুরোটাই অর্থ দিয়ে নির্ধারিত। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা রাজনৈতিক ভাবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব ততদিন এসব ভিসি, এসব ক্রিকেটার, এসব ধর্ম ব্যবসায়ীরাই সমাজের মুখপাত্র হয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।

দুবনা, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা