গল্প

সামাজিক মাধ্যমের যুগে, যখন খুব সহজেই নিজেকে অন্যদের সামনে তুলে ধরা যায়, অধিকাংশ মানুষ চায় অপেক্ষাকৃত পরিচিত মানুষের সাথে ছবি তুলে সেসব পোস্ট করে সেই লোকের পরিচয়ে নিজেও একটু পরিচিত হতে। এরা প্রায়ই বোঝে না যে, নিজে পরিচিত হতে গিয়ে তারা আসলে সেই লোকটার পরিচিতি বা জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিচ্ছে। অধিকাংশ মানুষ এসব ছবিতে শুধু সেলিব্রিটির দিকেই তাকায়, তার আশেপাশের চ্যালা চামুন্ডার দিকে ভ্রূক্ষেপ পর্যন্ত করে না। ফলে এসব করে তেল মাথায় আরও তেল মাখা হয়, নিজের মাথায় ছিটেফোঁটাও পরে না।

ছোটবেলায় ছেলেমেয়েরা বৃদ্ধদের মুখে বিভিন্ন গল্প শুনতে ভালবাসে। সবাই তাঁকে ঘিরে বসে থাকে, হা করে গল্প শুনে। শুধু কিছু কিছু দুষ্ট ছেলেমেয়ে, যারা সেই গল্পের মাঝে হইচই করতে পারে, তারা কিছুটা হলেও ফ্লোর পায়, বাকীরা সবার অগোচরেই থেকে যায়।

পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা যখন এরকম আড্ডায় বসেন আর বাইডেন দাদু যখন তাদের পুতিন অসুরের গল্প শোনান, তখন তারাও মন্ত্রমুগ্ধের মত সেসব গল্প শোনে আর মাঝে মধে দুষ্ট ছেলে জেলেনস্কি অভিনয় গুণে অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। তবে এখনও পর্যন্ত জেলেনস্কিকে ভিক্ষুর ভূমিকায় অভিনয় করতেই দেখা যায়, নায়ক নয়।

দুবনা, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা