ভাবনা

শুনেছি, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের কেউ কেউ ক্যানাডায় বাস করে। এখন আসুন এরকম একটি দৃশ্য কল্পনা করি যা মোটেই অসম্ভব নয়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম জিয়া গেছেন ক্যানাডায় রাষ্ট্রীয় সফরে। মিঃ ট্রুডো ক্যানাডার পার্লামেন্টে তাঁর সম্মানে বিশেষ আয়োজন করেছেন এবং কোন কারণ বশতঃ বর্তমানে ক্যানাডার সম্মানিত নাগরিক বঙ্গবন্ধুর সেই খুনীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সেই লোক এক দলীয় শাসন থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছে ইত্যাদি বলে তার প্রতি সম্মান জানিয়েছে। পরে স্থানীয় বাংলাদেশী অভিবাসীরা এর প্রতিবাদ করলে মিঃ ট্রুডো তাদের অজ্ঞতার কারণে এরকম এক অস্বস্তিকর পরিবেশে ফেলার জন্য বেগম জিয়ার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অভিবাসী বাংলাদেশীরা এ নিয়ে রাজনীতি করছে বলেও এক হাত নিয়েছেন।

ক্যানাডার পার্লামেন্টে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির আগমন উপলক্ষ্যে ঠিক এমনটাই ঘটেছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হিটলার, মুসোলিনির অনুরাগী আর সেই সূত্র ধরেই যুদ্ধ শেষ অনেক নাৎসি, বিশেষ করে ইউক্রেনের বান্দেরাপন্থীরা সেদেশে আশ্রয় পায়। তাদের উত্তরসুরীদের অনেকেই ক্যানাডার রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত, ভালো ভালো পদে আছে। তাই এই ঘটনা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটা সেদেশের এলিটদের অস্থি মজ্জায় ঢুকে যাওয়া এক অতি সাধারণ ঘটনা। আজ রুশ বিরোধিতা করে পশ্চিমা দেশগুলো আসলে ফ্যাসীবাদকেই সামনে নিয়ে আসছে। কারণ ফ্যাসীবাদ পশ্চিমা সংস্কৃতির ফসল। এর আগে সেটা ছিল বর্ণবাদ ও উপনিবেশবাদের মোড়কে, পরে সেটা ফ্যাসিবাদের রূপ পায়। কিন্তু ঘটনা একই। অন্যদের অবজ্ঞা করা, অন্যদের দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষ করে রাখা। এর ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে।

দুবনা, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা