প্রশ্নোত্তর

গত ১৬ সেপ্টেম্বর একটা এক্সকারশনে গিয়েছিলাম রোমানভ-বারিসোগ্লেবস্ক বা তুতায়েভ নামে ভোলগা তীরের এক ছোট্ট শহরে। বিভিন্ন গির্জা ঘুরিয়ে গাইড বললেন গির্জার দেয়ালগুলো প্রায় দেড় মিটার পুরু।

কে বলতে পারবে কেন?

যাতে ঈশ্বর পালিয়ে যেতে না পারে। - উত্তর দিলাম।

না। যাতে শয়তান বা অপবিত্র শক্তি ঢুকতে না পারে।

তাহলে তো শয়তানকে চার দেয়ালের মধ্যে আটকে রাখাই যৌক্তিক ছিল। শয়তানের হাত থেকে ঈশ্বরকে বাঁচাতে তাঁকেই বন্দী করলেন? 

যদি বিজ্ঞানীর কাছে ঈশ্বরের পালিয়ে যাওয়া আর শয়তানের ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি হয়, ধার্মিক ঈশ্বরের পালিয়ে যাবার সম্ভাবনা ধর্তব্যের মধ্যেই নেয় না। তাছাড়া সাধারণ ভাবে সবাই নিজেকে চার দেয়ালের মধ্যে আটকে রাখার চেয়ে মুক্ত বাতাসে ঘোরাফেরা করাই বেশি পছন্দ করে যদি না সে নেট এডিক্টেড হয়।

পরে বাসে বসে মনে হল এ জন্যেই হয়তো ভালো ও মুক্তচিন্তার মানুষদের জেলে ঢুকিয়ে খারাপদের হাত থেকে রক্ষা করতে চায় বিভিন্ন দেশের সরকার। ভালো মানুষ যদি অবাধ্য মানুষদের বুঝিয়ে পথে আনার চেষ্টা না করে সে ভালো থাকে কি করে? ঈশ্বর যদি শয়তানকে বুঝিয়ে তার দেবত্ব রক্ষা করার চেষ্টা না করেন তাহলে তিনিই বা কেন সহনশীল? নাকি এখানেও ক্ষমতা হারানোর ভয় পাছে শয়তান অন্যান্য দেবতাদের সমর্থন লাভ করে?

মস্কো, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা