রূপ

ছোটবেলায় কোথায় যেন পড়েছিলাম ঈশ্বরের আকার নেই বলে তিনি নিরাকার নন, তিনি ভক্তের সামনে যেকোন আকার ধারণ করতে পারেন বলে নিরাকার। এই একই কথা যে কোন আদর্শের ক্ষেত্রেও সত্য। একই জল যেমন পুকুরে, নদীতে বা সাগরে ভিন্ন রূপে ভিন্ন নামে প্রকাশ পায়, আদর্শ তেমনি উপস্থাপকের কারণে ভিন্ন ভাবে আসে মানুষের কাছে। ধর্ম হোক আর অন্য কোন আদর্শ হোক তার প্রকাশ মানুষ বা মানুষের তৈরি সংগঠনের মাধ্যমে। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র বা ধর্মের কথা বলে যেমন লিংকন, লেনিন বা যীশু আসে, তেমনি আসে জিয়া, পলপট বা মোল্লা ওমর। এসব উপস্থাপকই নির্ধারণ করে ধর্ম বা তন্ত্রের রূপ। সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা সমাজতন্ত্রকে ঠেকাতে গিয়ে পশ্চিমা পুঁজিবাদী ব্যবস্থা যে মানবিক রূপ নেয় সোভিয়েতের পতনের সাথে সাথে তাদের কাছে সেটার প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায়। আজ বিশ্ব জুড়ে যে অরাজকতা, অস্থিরতা সেটা পুঁজিবাদের সেই আসল রূপে ফিরে যাবার কারণেই। এজন্যেই মনে হয় বিকল্প পথের কথা ভাবতে হবে যার ভিত্তি হতে পারে সোভিয়েত ব্যবস্থা মাইনাস তার আমলাতন্ত্র। 

দুবনা, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা