নির্বাচন

সরকার পতন, নিরপেক্ষ নির্বাচন - এসব শ্লোগানে ভরে যাচ্ছে ফেসবুক। ব্যাপারটা এমন যেন সরকার পতনেই সব সমস্যার সমাধান নিহিত। অথবা নিরপেক্ষ নির্বাচনে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস নিরপেক্ষ নির্বাচন যদি হয় তাতে বড় জোর সরকার বদলাবে কিন্তু কোন সমস্যার সমাধান হবে না। দু দিন পরে আবার এই ইস্যুতে মাঠে নামবে সবাই। পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের রেওয়াজ নেই। আমাদের দেশের কোন সরকারই কখনও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে না, খুব কম দেশেই করে। তাহলে? বিরোধী দলগুলো সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে নির্বাচন যাতে যতদূর সম্ভব নিরপেক্ষ হয় সেটা করতে। আগেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। সেখানে সমস্যা ছিল বলেই ওখান থেকে সরে আসা। তাই ও পথে না গিয়ে নতুন পথ খুঁজতে হবে। নির্বাচনে সবাই প্রার্থী, সরকারি বা বিরোধী দলের ব্যাপার নেই। সব দল যদি সচেষ্ট হয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা সম্ভব। না হলে যেখানে যে দল শক্তিশালী সেখানে সে দুর্নীতি করবে। তাই সরকার বদলানোর আগে সব দলকে নিজেদের বদলাতে হবে। সেটা না করে সরকার বদলালে অরাজকতা দেখা দেবার সম্ভাবনা আছে। বাইরে অনেকেই সেটা চায়। কমবেশি স্বাধীন বা পশ্চিমা বিশ্বের উপর অনির্ভরশীল পররাষ্ট্র নীতি অনেকেই পছন্দ করে না। অরাজকতা কি করতে পারে লিবিয়া বা পাকিস্তানের দিকে তাকালে সেটা বোঝা যায়। আজকাল কোন দেশের নির্বাচন আর তার আভ্যন্তরীণ ব্যাপার নয়, বৈশ্বিক। তাই এসব দাবি তোলার সময় বাইরের খেলোয়াড়দের ভূমিকা, স্বার্থ এসব মাথায় রাখা দরকার। না হলে শুধু আম নয় ছালাও হারাতে হবে।

দুবনা, ২৬ জুলাই ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা