সিপাহী

আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ, যারা বিভিন্ন দেশে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে, তারা দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসে, যা দেশের অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের অসাধারণ লোকজন যারা পশ্চিমা বিশ্বে শিক্ষকতা, গবেষণা, চিকিৎসা ইত্যাদি সাদা জব করে তাদের খুব কম অংশই দেশের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বা কাঠামোগত উন্নয়নে বা পরিবর্তনে অংশগ্রহণ করে। খুব ছোট একটা অংশ, যারা দেশের জীবনে অংশগ্রহণ করতে চায়, তারা মূলত সেটা করে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এবং রেমিট্যান্স বা এসবের পরিবর্তে তারা আনে আইডিয়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব আইডিয়া যতটা না দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার বাস্তব পদক্ষেপ তার চেয়েও বেশি তাদের নতুন দেশের, নতুন মালিকদের কাছে রাজনৈতিক ভাবে দেশকে পরাধীন করার রূপরেখা বাস্তবায়নের নীল নকশা। আর এটা অনেকটা শ দেড়েক বছর আগে ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজে প্রাপ্ত বয়স্কা মেয়েদের বিয়ের মত। কুলীণ বংশের ব্রাহ্মণের সাথে বিয়ে দিয়ে সমাজ ভাবত মেয়েটার একটি গতি হল। বাস্তবে তাকে কিছু দিনের মধ্যে সহমরণে পাঠানো হত। গণতন্ত্র মানে ইউরোপ আমেরিকার সাথে গাঁটছড়া বেঁধে চলা আর বিনা বাক্যব্যয়ে তাদের সব খেয়াল খুশি মেনে নেয়াকে যারা আমাদের দেশের গণতন্ত্রের একমাত্র সঠিক পথ বলে ফতোয়া দেয় তারা আসলে মৃত্যু পথযাত্রী কুলীণ ব্রাহ্মণের ঘটকের কাজ করে। এদের কাছে স্বাধীনতা আসলে এদের প্রভূদের প্রতি আনুগত্য।

দুবনা, ৩১ জুলাই ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা