চরিত্র

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেগেটিভ ভূমিকার কারণে এক সময় প্রায় অন্ধভাবে আমেরিকার বিরোধিতা করলেও সোভিয়েত ইউনিয়নে এসে এদের বিভিন্ন ত্রুটি দেখে মনোভাবের পরিবর্তন হয়। আমেরিকার বিদেশ নীতি অপছন্দ করলেও মনে হত আভ্যন্তরীন ব্যাপারে আমেরিকা অত্যন্ত সফল। বিশেষ করে ব্যক্তি মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নে, আইনের শাসনে। তবে ২০০০ সালে নির্বাচন পরবর্তী নাটক সেই আস্থায় ফাটল ধরায়। এরপর আসে বিএলএম যা সেখানকার জাতিগত বৈষম্যের চিত্র নতুন করে তুলে ধরে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় শোষণ অস্বাভাবিক কিছু নয়, তবে বর্তমান আমেরিকায় সেটা যে জাতি বা বর্ণ ভিত্তিক এটা ভাবিনি। ধারণা ছিল মার্টিন লুথার কিং পরবর্তী যুগে সেসব সুদূর অতীত। ইন্টারনেট বা তথ্যের সহজলভ্যতা বিশ্ব সম্পর্কে অনেক ধারণাই পাল্টে দিয়েছে। তবে বর্তমানে ট্রাম্প ও বাইডেন (জো + হান্টার) কে কেন্দ্র করে সেদেশে বিচার বিভাগের যে চরিত্র আমরা দেখি তাতে তৃতীয় বিশ্বের যেকোন দেশের বিচার ব্যবস্থাও লজ্জিত হয়। একটা দেশ, একটা সমাজ, একজন মানুষের কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকে যা দিয়ে আমরা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করি। কেউ যখন তার এই বৈশিষ্ট্যগুলো হারায় সে তখন আর কোনদিনই নিজের জায়গায় ফিরে আসতে পারে না, শুরু হয় অবক্ষয়। এই আভ্যন্তরীণ অবক্ষয় বাহ্যিক অবক্ষয়ের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর ও সুদূরপ্রসারী। কোন দেশের নির্বাচিত নেতৃত্ব সেই দেশের জনগণের সামাজিক ও মানসিক অবস্থার প্রতিফলন এমনকি তারা যদি ভোট নাও দেয়।

দুবনা, ০৫ আগস্ট ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা