আমরা ও তারা

জার আমলে শাসক শ্রেণী পুশকিনকে পছন্দ না করলেও তাঁর প্রতিভা নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। কি জারের রাশিয়ায়, কি সোভিয়েত ইউনিয়নে, কি বর্তমান রাশিয়ায় - পুশকিন তাদের সব। এরা এভাবেই বলে। এদেশে তালস্তোই, দস্তইয়েফস্কি, চেখভের মত শক্তিশালী লেখক থাকার পরেও। পুশকিনের বন্ধুদের অনেকেই নামকরা কবি, সাহিত্যিক। একই ভাবে শেক্সপিয়ার, গেটে, দান্তে, ইকবাল এরাও নিজ নিজ দেশে পূজিত, সম্মানিত। এসব দেশে, এসব ভাষায় শক্তিশালী লেখক কবির অভাব নেই, যেমন নেই বাংলা ভাষায়। তবে আমরাই শুধু কারণে অকারণে, অপ্রাসঙ্গিক বিষয় তুলে এনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান খাঁটো করতে চাই। এতে যতটা না রবীন্দ্রনাথের ক্ষতি হয় তারচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বাংলা ভাষার। সাময়িক বাহবা পেতে অনেকেই এভাবে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারে। তবে নিজের মহিমায় রবীন্দ্রনাথরা বেঁচে থাকেন অনন্তকাল।

দুবনা, ০৮ আগস্ট ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা