মব

আজকাল মব নিয়ে খুব কথা হচ্ছে। আগে ছিল মগের মুল্লুক এখন দেশ হল মবের মুল্লুক। কিন্তু এটা কি নতুন কিছু? হাটে চোর ধরা পড়লে গণপিটুনি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। পকেটমারের ক্ষেত্রেও তাই। অন্যান্য দেশে অপরাধী সন্দেহে কাউকে যেখানে পুলিশের হাতে তুলে দেয়, দেশে জনগণ নিজেরাই বিচারক হয়ে শাস্তি নিশ্চিত করে। এর কারণ হয়তো পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগ সব কিছুর প্রতি মানুষের অবিশ্বাস। বিভিন্ন দলের নিজস্ব পেটোয়া বাহিনী থাকলেও সরকার কর্তৃক মবের ব্যবহার এই প্রথম। এতে একদিকে যেমন জনতার সাথে সরকারের সম্পৃক্ততার কথা বলা যায় অন্যদিকে তেমনি জনতার কাঁধে দোষ চাপিয়ে নিজেদের নিরাপদ দূরত্বে রাখা যায়। দীর্ঘ দিন যাবৎ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের কমিটি নির্বাচনে বিভিন্ন গ্রুপের সমর্থকদের শক্তির ব্যবহার আমরা দেখে এসেছি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যদি নিজ নিজ সমর্থকদের পরিবর্তে মবের ব্যবহার দেখা যায় তাতেও অবাক হবার কিছু থাকবে না। শুধু তাই নয় দেশে হয়তো অনেক বেকার যুবক মবের দলে নাম লেখাবে এবং দিন মজুরদের মত অর্থের বিনিময়ে যে যখন ডাকবে তার দলে কাজ করবে। উদীচির নির্বাচনের বিবরণ শুনে মনে হয় ফ্রিল্যান্সিং মবের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের মাটিতে খুব উজ্জ্বল।

দুবনা, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Comments

Popular posts from this blog

রিসেটের ক্ষুদ্র ঋণ

প্রশ্ন

পরিমল