নরক

গত ২২ ফেব্রুয়ারি আমরা অনলাইনে একুশের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করলাম। অনেকেই এসেছিলেন, আবার অনেকেই আসতে পারেননি। যারা আসতে পারেননি তাদেরই একজন ফোন করল
- আসলে সারা রাত কাজে ছিলাম, তাই আর যোগ দেয়া হয়নি।
- কোন সমস্যা নেই। এর পরে যোগ দিলেই হবে।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলাপ। কথা হল সংগঠন সম্পর্কে। এক সময় বলল

- প্রায়ই ভাবি সংগঠন করা ছেঁড়ে দেই। তবে কেন যেন হয়ে ওঠে না।
- এমনিতেই কি আর বলে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে।
- তা যা বলেছেন। তাও আজকাল প্রায়ই এসব বাদ দিতে ইচ্ছে করে।
- কয়েক দিন পরে নরকে যাবে। যে কয়দিন আছ এখানেই আনন্দ করে যাও না হয়।
- কেন? নরকে এসব নেই?
- সারা দিন যদি গরম তেলে ডুবে থাকতে হয় সংগঠন করার সময় কোথায়?
- আর যদি স্বর্গে যাই?
- তাহলে এসব করতে দেবে না। সংগঠন করা মানেই তো কারো না কারো আদেশ অমান্য করা। আদমের কথা ভুলে গেলে?
- কিন্তু আমি নরকে যাব সেটা আপনাকে কে বলল?
- কেউ না। আমি এমনিতেই বললাম। তবে দুই ধরণের মানুষ যে নরকে যাবে সেটা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।
- তারা আবার কারা?
- সমকামী আর ডায়াবেটিকসের রোগী।
- কেন, তারা কি এতটাই পাপী?
- প্রশ্ন পাপে পুন্যে নয়। প্রশ্ন স্বর্গের পরিবেশে।
- বুঝলাম না।
- দেখ তারা যদি নরকে যায় তো ল্যাঠা চুকে গেল। কিন্তু স্বর্গে গেলে? একটু ভাব। যতদূর জানা যায় শুধু রসগোল্লা আর বিভিন্ন রকমের মিষ্টি খাবার স্বর্গে পরিবেশন করা হয়। এখন নিজেই ভেবে দেখ ডায়াবেটিকসের রোগী যার মিষ্টি খাওয়া নিষেধ এই স্বর্গ তার জন্য নরকের চেয়ে ভালো কীভাবে হয়?
- বুঝলাম। সমকামীদের কি সমস্যা।
- প্রায় একই রকম। বাহাত্তর জন হুর দিয়ে তারা কী করবে? এটাও তো তাদের জন্য নরক যন্ত্রণার চেয়ে কম না।
- আপনি পারেনও।
- বিপ্লব তো করতে পারলাম না। তাই এসব নিয়েই থাকি। তাতে অন্তত কারো ক্ষতি হয় না।

দুবনা, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Comments

Popular posts from this blog

রিসেটের ক্ষুদ্র ঋণ

প্রশ্ন

পরিমল