দায়বদ্ধতা
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা বুদ্ধিজীবীদের অনুপস্থিতি। তারা হয় সভাকবি না হয় প্রতিপক্ষ। সভাকবিরা রাজার গুণগান গেয়ে বেড়ায়, রাজার ভালো মন্দ সব জায়েজ করে। যারা নিজেদের প্রতিপক্ষ মনে করে তারা সরকারের ভালো মন্দ সব কিছু নাকচ করে দেয়। একই ঘটনা ঘটে বিরোধী দলের ক্ষেত্রেও। ফলে কী সরকারি দল কী বিরোধী দল সবাই নিজেদের উদ্দেশ্যে গঠনমূলক সমালোচনা থেকে বঞ্চিত যা তাদের ভুল সংশোধনের পথে বড় বাধা। স্বাভাবিক ভাবেই সরকারই যেহেতু রাষ্ট্রের ভালো মন্দের জন্য দায়বদ্ধ তাই তাদের কাজই রাডারে থাকে। সরকারের কাজ নিয়েই কথাবার্তা হয়। সমস্যা হল আগে আওয়ামী সরকারের সমালোচনা করলে হয় রাজাকার না হয় আওয়ামী বিরোধী ট্যাগ লাগাত। এখন বর্তমান সরকারের সমালোচনা করলে বলে স্বৈরাচারের দোসর। অথচ এরা শুধুই বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলে, যা দেশের জন্য ভালো মনে করে সেটাই বলে কোন দলের প্রতি দায়বদ্ধতা ছাড়া। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের এক বন্ধু বলল তুই সব সময় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করিস। কাজটা ভালো করিস না। আমি আর কি করব। বললাম তোরা চুরি করবি আবার চোর বললে মাইন্ড করবি। চুরি করা বাদ দে দেখবি আমার সমালোচনাও বন্ধ হয়ে গেছে। সবাই নিজেদের প্রশংসা শুনতে চায় কিন্তু কেউই নিজেদের কাজের মধ্য দিয়ে সমালোচনার ঊর্ধ্বে উঠতে চায় না।
মস্কোর পথে, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Comments
Post a Comment