উপলব্ধি

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গনের পর থেকে গত দশকের শুরু পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া রাশিয়ায় সম্মানজনক ছিল না। সবাই চেষ্টা করত কোন না কোন অজুহাতে বাধ্যতামূলক ভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকতে। যোগ না দেবার বিভিন্ন আইনি ও বেআইনি উপায় ছিল। বেআইনি উপায়ের একটি ছিল মিথ্যা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট কেনা। আইনির মধ্যে পড়ত ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া। সেক্ষেত্রে আর্মি থেকে পুরোপুরি মুক্তি না পাওয়া গেলেও কয়েক বছর সময় পাওয়া যেত। এই সময়ের মধ্যে যদি কেউ দুটো বাচ্চার বাবা হত তাহলে আর আর্মিতে যাওয়া বাধ্যতামূলক ছিল না। আমি তখন দুবনা ইউনিভার্সিটিতে কিছুদিন পড়িয়েছিলাম। কেউ ছাত্রদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে অভিজ্ঞতার আলোকে বলতাম

- ছেলেরা পড়াশুনা করতে চায় না, তবে আরও বেশি করে চায় না আর্মিতে যেতে।

আজকাল কেউ সরকারের সঠিক সমালোচনা করলেও অনেকেই তাকে স্বৈরাচারের দোসর বলার চেষ্টা করে। আমার ধারণা

এরা কেউই স্বৈরাচার চায় না তবে আরও বেশি চায় না বর্তমানের অরাজকতা, আইনহীনতা আর বাংলাদেশের পাকিস্তানিকরণ।

দুবনা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Comments

Popular posts from this blog

রিসেটের ক্ষুদ্র ঋণ

প্রশ্ন

পরিমল