আমরা
জানি না ১৯৪৭ সালে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে জন্মের কারণে কি না কিন্তু এই ভূখণ্ডের সব কিছুই ধর্মের মত ব্যবহৃত হয়। ধর্মের ব্যবহার কীভাবে হয় এখানে? মূলতঃ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য। অনেকেই বলে আমাদের দেশের মত রাজনীতিতে আবেশিত জনগণ খুব কম দেশেই আছে। হাট, মাঠ, ঘাট, টি স্টল সব জায়গাতেই শুধু রাজনৈতিক আলোচনা। কিন্তু সেটা রাজনীতি সচেতনতা নয়, কোন না কোন দলের প্রতি অন্ধ সমর্থন। ফলে রাজনীতি আজ গুণগত ভাবে ধর্মের রূপ পেয়েছে যেখানে প্রশ্ন করার সুযোগ নেই। আর এর ফলে বিভিন্ন দিবস আজ ধর্মীয় উৎসব পালনের এক একটি দিবসের মত। আমরা একুশ পালন করি। বই মেলা, লেখালেখি কি না হয়? কিন্তু ভাষার উন্নয়নের জন্য, জাতি যাতে মাতৃভাষায় সঠিক ভাবে ভাবতে, বলতে বা লিখতে পারে সেজন্য কিছু করি না। আমরা ঘটা করে স্বাধীনতা দিবস পালন করি কিন্তু নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারি না। আমরা বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে উৎসবের আয়োজন করতে পারি কিন্তু বিজয়ের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দেয়া তো দূরের কথা বিজয়ই ধরে রাখতে পারি না। আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করি কিন্তু দেশে মুক্ত চিন্তার মানুষের বসবাস যোগ্য পরিবেশ গড়ে তুলতে পারি না। উল্টো দেশকে মেধা শূন্য করার জন্য সব কিছু করি। আজকাল এসব দিবস জাতির জন্য অনেকটা পাপ করে গির্জায় গিয়ে কনফেশন করার মত। তারপরেও পৃথিবীর আবর্তনে এসব দিবস ফিরে আসবে, ফিরে আসবে স্মৃতি। জাতি স্মরণ করবে তার সূর্য সন্তানদের যাদের তাঁরা মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন এবং যাদের আজ পথহারা হবার দায় তাঁদের নয়। শহীদ বুদ্ধিজীবী সহ মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা!
দুবনা, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
Comments
Post a Comment