যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা
এক সময়ে বিশ্বাস করা হত যিনি জ্ঞানী তিনিই ব্রাহ্মণ। পরে অবশ্য এটা পেশা বা পদ হয়ে গেছে - লাভজনক পেশা। ফলে জ্ঞান বিচারে নয়, নিজেদের সুবিধা অসুবিধার কথা চিন্তা করেই ব্রাহ্মণত্বের সার্টিফিকেট দেয়া শুরু হয়। একই ঘটনা ঘটছে এখন গণতন্ত্র, মানবতা - এসব ক্ষেত্রেও। পশ্চিমা বিশ্ব ধরেই নিয়েছে একমাত্র তারাই গণতন্ত্র, মানবতা, বাক স্বাধীনতা এসবের হোল সেলার। তাই যেই একটু স্বাধীন ভাবে চলতে চায় তাকেই স্বৈরাচারী, অগণতন্ত্রী ইত্যাদি খেতাবে ভূষিত করা হয়। জর্জিয়া এক সময়ে রঙিন বিপ্লবের বন্যায় ভেসে গেছিল। ফলাফল - রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ, পরাজয় ইত্যাদি। বর্তমান সরকার এসব থেকে শিক্ষা নিয়ে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন না করলেও ইউক্রেনকে সাহায্য করা, দ্বিতীয় ফ্রন্ট খোলা - এ ধরণের নীতি থেকে সরে এসেছে এবং জন সমর্থন পাচ্ছে। ফলে কয়েকদিন আগে নির্বাচনে জিতলেও পশ্চিমা বিশ্ব নানা অজুহাতে এই ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করছে, সে দেশের প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের নাগরিক মেয়াদ শেষ হলেও পদত্যাগ করতে অস্বীকার করছেন, এমনকি স্কুলের ছেলেমেয়েদের রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন। এভাবেই পশ্চিমা বিশ্ব অ তাদের স্থানীয় দোসররা জর্জিয়াকে ইউক্রেনের পথে ঠেলছে। ইউক্রেনের এত মৃত্যু, এত ধ্বংস যেন কম। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে যে উত্তেজনা সেটাও কি সূক্ষ্মভাবে পরিকল্পিত পশ্চিমা কুটচাল নয়? কোন ঘটনা ঘটলে মরবে কিন্তু আমাদের লোক - তা সে বাংলাদশী হোক আর ভারতীয় হোক। আর এর ফায়দা লুটবে পশ্চিমা অস্ত্র বিক্রেতারা। আগে ডিভাইড অ্যান্ড রুল ছিল এক দেশের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে, এখন সেই সাথে যোগ হয়েছে বিভিন্ন দেশের পারস্পরিক লড়াই। ইরান-ইরাক যুদ্ধ কি কিছুই মনে করিয়ে দেয় না? মরার অনেক পথ আছে। সবাইকে নিয়ে বাঁচার পথ খুঁজুন।
দুবনা, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
দুবনা, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Comments
Post a Comment