প্রতিবাদে হন সৎ
গতকাল বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার জন্য প্রতিবাদ হচ্ছে ফেসবুকে। হওয়াটা স্বাভাবিক। যেকোনো আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন মানুষ ও জাতি এটা করবে। তবে একই সাথে এ প্রশ্নও নিজেকে করতে হবে যে আমরা নিজেরাই কি এসব করার সুযোগ করে দেইনি? স্বৈরাচারের পতনের পর যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত সব ইতিহাস ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছিল একদল মানুষ সেটাকে হাসিনার প্রতি ঘৃণার প্রতিফলন বলে আমরাই কি এধরণের ঘটনা প্রমোট করিনি? আওয়ামী লীগের ভুল ও অন্যায় ছিল সীমাহীন। সেটার প্রতিবাদ করা যেকোনো বিবেকবান মানুষের কর্তব্য। ন্যায়ের পক্ষে, সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে হবে লাভ ক্ষতির হিসাব না করেই, তবে একই সাথে এটাও মনে রাখতে হবে এই সততা যেন অসৎ আর ভণ্ডদের দ্বারা তাদের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহৃত না হয়। ইদানিং কালে সেটাই হচ্ছে। এখন থেকে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ শুরু না করলে একদিন প্রতিবাদ করার অধিকার ও শক্তি দুটোই হারাবেন। আর প্রতিবাদ করতে হবে যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে। এখানে যদি সিলেক্টিভ হন তাহলে বুঝতে হবে আপনি ন্যায়ের পক্ষে নন, আপনি সুবিধাবাদী। অন্যায়কারীদের জাত, পাত, ধর্ম, বর্ণ থাকে - অন্যায়ের এসব থাকে না। তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হলে এসব খুঁজবেন না। প্রতিবাদের ক্ষেত্রে সৎ হন।
মস্কো, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Comments
Post a Comment