ফুটবলে গোল মাল

ছাত্র জীবনে সবাই মিলে ফুটবল খেলা দেখতাম। এমনকি খেলার পরে মিছিল পর্যন্ত করেছি মিকলুখো-মাকলায়ায় সোভিয়েত ইউনিয়নের জনগণকে হতবাক করে দিয়ে। তবে হোস্টেল ছাড়ার পর খেলা তেমন আর দেখা হয় না। মাঝে সেভা ফুটবল নিয়ে মেতে ওঠায় ২০১৪ সালে অনেক খেলা দেখেছি। ২০১৮ সালে রাশিয়ায় খেলা হলে সেভাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যেতে চায় কিনা। তবে ইতিমধ্যে ওর আগ্রহে ভাটা পড়েছে। দেখা হয়নি কিছুই। এবার হত কিনা জানিনা, তবে কনফারেন্সে আমার রুমমেট ছিল আলেক্সেই। ও যেহেতু দেখতে, তাই ওকে কোম্পানি দিতাম রাত ১০ টার খেলায় (১, ৪ ও ৭ টার খেলা কনফারেন্সের কাজে ব্যস্ত থাকায় দেখার সুযোগ ছিল না)। তবে ব্যাপারটা ভালো লেগেছে। তাই এখনও মাঝেমধ্যে দেখি কাজের ফাঁকে ফাঁকে। 

এবারের বিশ্বকাপে নতুন সংযোজন দীর্ঘ অতিরিক্ত সময়। অনেকটা আইস হকির মত, শুধু পিওর খেলার সময়টা হিসেবে রাখার মত। প্রথম দিকে মনে কিছু প্রশ্ন জাগলেও পরে মনে হল খুব এফেক্টিভ। এর ফলে সময় নষ্ট করার প্রবণতা কমেছে বা বলা যায় সময় নষ্ট করে প্রতিপক্ষের উপর যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হত সেটা নাই হয়ে গেছে। অন্য দিকে আগে গোলের পর খেলোয়াড়রা মন খুলে সেলিব্রেশন করতে পারত না হলুদ কার্ড পাওয়ার ভয়ে। এখন সেটা নেই। এমনকি এক্সট্রা টাইমে কেউ অভ্যেস বশত সময় নষ্ট করলেও সেটা পুষিয়ে দিচ্ছেন রেফারি। অনেকটা এরকম - তোমরা চাইলে সময় নষ্ট করতেই পারে, তবে মনে রেখ সময় শেষের বাঁশি আমার হাতে। এর ফলে কার্ড দেখানো কমেছে, কমেছে অফুটবলীয় অপরাধ।

মস্কো, ২৮ নভেম্বর ২০২২

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

ছোট্ট সমস্যা

প্রায়োরিটি