শান্তি
৩১ ফেব্রুয়ারি ২০৩০।
সকাল থেকেই একের পর এক মেসেজ আসছে। টাইম লাইন, ইনবক্স সব উপছে পড়ছে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিচিত অপরিচিত হাজার মানুষের শুভেচ্ছা বার্তায়। সবাই মনের গভীর থেকে একটা কথাই লিখছে
রেস্ট ইন পিস।
অথচ ২০২৪ সালের আগে সে কতবার চেয়েছে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও শান্তিতে ঘুমাতে। পারেনি। দেয়নি। না আত্মীয়-স্বজন, না বন্ধু-বান্ধব, না পাওনাদারের দল। কিন্তু ২০২৫ সাল থেকে সেই যে শুরু হল। এরপর থেকে প্রতি বছর ৩১ ফেব্রুয়ারি ভোর ১২.০১ থেকে রাত ১১.৫৯ পর্যন্ত সেই যে শান্তিতে ঘুমানোর আদেশ, অনুরোধ, কামনা, উপদেশ ইত্যাদির ঢল নামে যে বেঁচে থাকাটাই প্রচন্ড লজ্জাকর এক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এরচেয়ে মরে যাওয়াই অনেক বেশি শান্তির। কারণ শেষ বিচারের অপেক্ষায় অনির্দিষ্টকালের জন্য হাজত বাস করা আর যাই হোক শান্তির হতে পারে বলে মনে হয় না।
চাহিদা, এমনকি সে চাওয়া যদি শান্তির জন্যেও হয়, একটা সময় সেটাও অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মানুষকে শান্তিতে বাঁচতে দিন। শান্তিতে ঘুমাতে দিন। আর সেজন্য জাতীয় সম্পদের সুষম না হলেও ন্যায্য বন্টনের ব্যবস্থা করুন।
মস্কো, ০৭ নভেম্বর ২০২২
Comments
Post a Comment