বর্তমান ভূত

 

গতকাল বাসা থেকে বেরুব, হঠাৎ মনিকার ওখানে হইচই। ক্রিস্টিনা চিৎকার করছে। একটু ভয়ই পেলাম। সবেমাত্র ভূত তাড়িয়ে বাসায় ফিরেছি তিনজন। মানে ওরা ভূত সেজে ভূত তাড়িয়েছে আর পাপা ওদের সাথে গেছে ছবি তুলতে। আজকাল এসব ঘটনার ছবি ইনস্টাগ্রামে না দিলে ওদের পেটের ভাত হজম হয় না। সেভাকে ডেকেছিল, যায়নি। মনিকার বন্ধু মিশাও না। অন্ধের যষ্টি পাপা। না গিয়ে কি আর পারা যায়। ভয় এ জন্যে যে আবার আগুন টাগুন ধরিয়ে না দেয়।
কি হল তোদের?
টেবিলে তারাকান মানে তেলাপোকা।
কেন? তোদের সাজ দেখে ভয় ও পেয়েছে নাকি?
তোমার কি কথা? ক্রিস্টিনার গা বেয়ে উঠছে তাই ও ভয় পেয়ে চিৎকার।
বারে। এইমাত্র ভূত তাড়িয়ে এলি এখন তেলেপোকার ভয়ে অস্থির?
তুমি তো বলেই শেষ।
তাহলে এক কাজ কর। তোদের বিড়াল কুকুরদের তেলাপোকা খেতে শেখা, দেখবি ইদুরের মত বাড়ি থেকে তেলাপোকাও পালিয়ে যাবে। শুনেছি কোরিয়ার লোকদের গন্ধে কুকুর পালায়।
তোমার যত বাজে কথা।
মনিকার এই কথার কোন উত্তর দিলাম না। আসলে আমার আর সময় ছিল না কথা বলার। তাহলে দুবনার বাস ফেল করব। মেট্রোতে যেতে যেতে ভাবলাম - ছাত্রও ছাত্রীরাই ভাল। মাস্টাররা কিছু বললে করে আর না করলেও তর্ক করে না।
অবশ্য নিজের ছেলেমেয়েদের কথা আলাদা। ওরা যদি তর্ক না করে করবে কে? এক সময় কেউ গায়ে পড়ে তর্ক করতে এলে বলতাম
শোন, তোমার সাথে তর্ক করে সময় নষ্ট করার সময় আমার নেই। তোমার সাথেই যদি এসব করি বৌ বিয়ে করেছি কোন দুঃখে। পরিবারের লোকেরাই তো সেই মানুষ যাদের সাথে একমত হওয়া যায় আবার দ্বিমতও প্রকাশ করা যায়।
দুবনা, ০১ নভেম্বর ২০২২

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

ছোট্ট সমস্যা

প্রায়োরিটি