একটা ছবির গল্প

গতকাল একটা ছবি পোস্ট করেছিলাম (৩ নম্বর ছবি)। সে নিয়ে এত আলোচনা আশা করিনি। তবে যেকোনো ছবি নিয়ে আলোচনা এটা ভাল লক্ষণ, কারণ এর অর্থ হল অনেকেই এর প্রতি ইন্ডিফারেন্ট নয়। ঐ ছবি নিয়েই আজকের কথা।

গত সোমবার স্লাভা জানতে চাইল আমি মঙ্গলবার ক্লাবে যাব কিনা আর গেলে যেন অয়াইড আঙ্গেল লেন্স সাথে করে নিয়ে যাই। দাসা আসবে ছবি তুলতে। সেই প্রসেসের ছবি তুলতে হবে, মানে রিপোর্ট করতে হবে।
আমি জানালাম আসার ইচ্ছে আছে, তবে সাথে নেব ৮৫ আর ৫০ মিমি লেন্স দুটো।
মারিনা বলেছে ওর ছবি তুলতে মস্কো সাগরের তীরে। তবে মনে হল সেটা হলে ওকে বলব আমাকে ক্লাবের ওখানে নামিয়ে দিতে।
যেহেতু মারিনা যোগাযোগ করছিল না তাই মোটামুটি ঠিক হোল ক্লাবেই যাচ্ছি। দাশাকেও মনে পড়ল। বছর দুয়েক আগে ওর ছবি তুলেছিলাম। লিখলাম - তুমি আমাকে নিয়ে যেও। আমি বাসার ওখানে অপেক্ষা করব। এখানে আমার গনি মিয়ার অবস্থা। নিজের গাড়ি নেই, বন্ধুদের গাড়িতে ঘুরে বেড়াই। এই দাশা, এই সাশা, এই দেমিদ। ওরা না গেলে ট্যাক্সি।
দাশার সাথে অনেক দিন পরে দেখা। ভালই হোল। বেশ কিছু জামাকাপড় জমে গেছে। ওর মাধ্যমে কোথাও দিয়ে দেওয়া যাবে। ক্লাবে গিয়ে দেখি দেমিদ প্রস্তুত। দীর্ঘ গ্রীষ্ম শেষে অনেকেই এসেছে ক্যামেরা নিয়ে। দেমিদ ছবি তুলবে। সাশা, আন্দ্রেই, গালিনা আর আমি মাঝেমধ্যে এর ছবি তুলব। এর মানে হোল, সফট বক্স থাকবে দেমিদের হাতে, আমরা কাজ করব হাই ইসোতে, উপরের লাইট দিয়ে।
এটা একটা ভাল অভিজ্ঞতা ছিল। কেননা দাশা দেমিদকে পোজ দিচ্ছিল, আর আমি এর ফাঁকে ফাঁকে চেষ্টা করছিলাম ওর ছবি তুলতে যখন ও রিল্যাক্স মুডে ছিল। আসলে ছবি তোলা হোল মুড ধরা (যদি লাইট তোমার হাতে না থাকে)। দেমিদ একসময় চলে গেল। আমি আর সাশা কিছু ছবি তুললাম। আমরা প্রায়ই এটা করি। গতকাল পোস্ট করা ছবিটা শেষ ছবি - দুই ঘণ্টা পোজ দেবার পর। আমি আর সাশা একই সাথে ক্লিক করেছিলাম, ও আলো পেয়েছে আমি পাইনি। মনে হয় সাশার পরে দাশা যখন রিল্যাক্সে চলে গেছে, ঠিক তখনই আমি ছবিটা তুলেছি।
এখানে আরও কয়েকটা ছবি।
দুবনা, অব্রাজ, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২







Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা