জিম্মি

ইউক্রেনে পশ্চিমা বিশ্ব যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর হলেও ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ তা চায় না। তাই যে যেভাবে পারে দেশ ছেড়ে চলে যায়। আর যাদের সেই সুযোগ নেই তাদের জোর করে যুদ্ধে পাঠানো হয় উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না দিয়ে। এদের বেশিরভাগ মারা যায় যুদ্ধ শুরু না করেই। যারা আত্মসমর্পণ করে জীবন রক্ষা করতে চায় তাদের ইউক্রেনের সেনারাই পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করে। এটা ঘটছে সেই ২০২২ সাল থেকেই। এর একটাই কারণ এই সেনারা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে যারা তাদের হাতে জিম্মি। কেন যেন মনে হয় কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা জিম্মি তাদের বর্তমান সাফল্য আর আন্দোলনে যোগদান কারী লাখ লাখ শিক্ষার্থীর কাছে এবং পেছন থেকে যেসব রাজনৈতিক দল উস্কানি দিচ্ছে তাদের কাছে। যেকোন আন্দোলনের নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। সেটা অর্জনের পরও যদি আন্দোলন চলে তাহলে সমস্ত অর্জন হারানোর তো বটেই আরও অনেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। সব সমস্যার হাজারটা সম্ভাব্য সমাধান থাকে। জয় বা পরাজয় দুটোই সমাধান। সব আমাদের পক্ষে যাবে তার কোন কথা নেই। বিচক্ষণ মানুষ সময় মত থামতে জানে আর অর্জিত সাফল্যের উপর দাঁড়িয়ে উপযুক্ত সময়ে নতুন লড়াইয়ে নামতে জানে। ইতিহাস সাক্ষী দেয় এরাই জেতে। একাত্তর তার জ্বলন্ত প্রমাণ বায়ান্ন, বাষট্টি, ঊনসত্তরের পরে।

দুবনা, ০৪ আগস্ট ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

পরিমল

নেতা

শুভ নববর্ষ ১৪৩১