অজুহাত

অনেকেই বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙা, ৩২ নম্বর পোড়ানো, সংসদ ভবন তছনছ এসব আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের পরিণাম হিসেবে দেখছেন। আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের প্রতি ন্যুনতম সমবেদনা নেই, ছিল না। সে আমলে যেসব আইন বহির্ভূত কাজকর্ম হয়েছে এবং এর সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা উচিৎ। কিন্তু একই সাথে এখন যারা অরাজকতা সৃষ্টি করছে, দেশের সম্পদ নষ্ট করছে, জনগণকে ত্রাসের মধ্যে রাখছে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। একমাত্র তখনই আমরা অতীতের দুঃশাসন থেকে বেরুতে পারব, অন্যথায় শুধু রাজা বদলাবে, অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে না। এক অন্যায়কে আরেক অন্যায় দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হবে, ন্যায় দিয়ে নয়। ঘরে চোর ঢুকলে সেটা চোরের যেমন দোষ, পাহারাওয়ালারও দোষ। ধরা পড়লে চোর শাস্তি পায়, না পড়লে পাহারাওয়ালা। তখন আর চোরের ঘাড়ে কেউ দোষ চাপায় না, পাহারাওয়ালাকে বরখাস্ত করে। তাই আজকের অন্যায়ের জন্য গতকালের অন্যায়ের অজুহাত খুঁজে লাভ নেই। কারণ এ ধরণের অজুহাত ধর্ষণের জন্য ধর্ষককে দায়ী না করে ধর্ষিতার পোশাককে দোষ দেবার মত আমাদের চিরায়ত মানসিকতার প্রতিফলন মাত্র। আমাদের এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, অন্যদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর আগে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সব ধরণের ভাংচুর, ডাকাতি, খুন খারাবি বন্ধ করতে হবে। কেউ আওয়ামী লীগের কর্মী বলে আক্রান্ত হয়েছে - এই অজুহাত আর যাই হোক দেশের শান্তি শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করে না, দেশকে স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে নেয় না।

দুবনা, ১২ আগস্ট ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

পরিমল

নেতা

শুভ নববর্ষ ১৪৩১