সাম্য

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কোরআনের পাশাপাশি গীতা ও বাইবেল পাঠ না করায় ফেসবুকে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মস্কোর দূতাবাসে এক সময় এসব পাঠ হত। নতুন রাষ্ট্রদূত এসে সেই ২০২০ সাল থেকেই গীতা বাইবেল শিকায় ঝুলিয়ে দেন। সেখানে আগে সব ধর্মের মানুষের কথা চিন্তা করে মেন্যু ঠিক করা হত। এবার ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সেটাও করা হয়নি। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গীতা বাইবেল পাঠ করলেই অন্য ধর্মের মানুষের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা ফিরে আসবে না যদি না জীবনের সর্বক্ষেত্রে সেই অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক প্রচেষ্টা থাকে। সেক্ষেত্রে যেকোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ না করাই বরং ভালো। কারণ অন্য ধর্মের মানুষদের ধর্মগ্রন্থ থাকলেও অবিশ্বাসী বা নাস্তিকদের তা নেই, কিন্তু তাদেরও নাগরিক অধিকার আছে।

দুবনা, ০৯ আগস্ট ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

পরিমল

নেতা

শুভ নববর্ষ ১৪৩১