সময়
আজ ফেসবুকে বেশ কিছু ভিডিও দেখলাম। সত্য না মিথ্যা সেটা জানি না, তবে যদি এগুলো ঘটে থাকে তাহলে আমরা সত্যিই দিন দিন দিশেহারা হচ্ছি। মনে পড়ছে ২০১৪ সালে ইউক্রেনে ময়দানের কথা। সেখানেও এসব দাবি তুলেই ইনুকোভিচকে সরানো হয়েছিল, ক্ষমতা কেঁড়ে নিয়েছিল উগ্র ডানপন্থীরা। আর একবার ক্ষমতা পেয়েই শুরু হয় ভিন্না মতকে কঠিন হাতে দমন করার রাজনীতি। হত্যা করা হয় প্রতিবাদী কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের, পুড়িয়ে মারা হয় অনেককে। এরপর দনবাসের ভিন্ন মতের লোকদের উপর শুরু হয় সামরিক অভিযান। রাস্তা ঘাঁটে মানুষকে কান ধরে ওঠবস করানো, গাছের সাথে বেঁধে রাখা, ডাস্টবিনে ভরে তাতে ময়লা ফেলা, সেই সাথে আছে সীমাহীন দুর্নীতি, যুদ্ধ আরও কত কী! সেটা শুরু হয়েছিল আমেরিকার সক্রিয় অংশগ্রহণে। ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ডের স্বীকারোক্তিতে ৫ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করায়। এখন যুদ্ধ বিগ্রহে দেশটির অস্তিত্ব বিপন্ন। জনসংখ্যা ৪০ থেকে নেমে ২৫ মিলিয়নে, প্রতিদিন যুদ্ধে কত তরুণ যে মারা যাচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। তবে এই সময়ে আমেরিকা ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে, এনার্জি সেক্টর থেকে তারা ব্যাপক আয় করছে ইউরোপ থেকে রাশিয়াকে বিদায় দিয়ে আর ইউরোপ থেকে শিল্প চলে যাচ্ছে আমেরিকায়। যুদ্ধ শেষ হবার কোন লক্ষণ নেই। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ঘটনা তাই ইউক্রেনের কথা মনে করিয়ে দিল। বাংলাদেশও ভৌগলিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন ভাবে যদি সেখানে একটা যুদ্ধের আয়োজন করা যায় তাতে ভারত ও চীন জড়িয়ে পড়বে আর আমেরিকার অস্ত্র বিক্রি বাড়বে দশগুন। ছাত্র জনতা যারা নিজেদের অজেয় মনে করছে তারাই কিন্তু এখানে একমাত্র খেলোয়াড় নয়, এমনকি জামাত, বিএনপিও নয়। বড় খেলয়াররা সব অনেক দূরে। তাদের কাছে আমাদের জীবনের কোন মূল্য নেই, একটা জিনিসই তারা জানে, সেটা মুনাফা। সেটার জন্যে তারা সারা পৃথিবীর মানব সমাজকে জলাঞ্জলি দিতে দ্বিধা করবে না। তাই সময় থাকতেই নিজেদের সংযত করা দরকার। নাহলে খুব বেশি দেরি হয়ে যাবে।
দুবনা, ১৬ আগস্ট ২০২৪
দুবনা, ১৬ আগস্ট ২০২৪
Comments
Post a Comment