উন্নয়ন
সামাজিক ভালোমন্দের ধারণা খুবই সাবজেক্টিভ। কথায় বলে এক দেশের বুলি আরেক দেশের গালি মানে এক সমাজে যা ভালো অন্য সমাজে তা খারাপ। তবে শুধু দেশ ভেদেই নয় সময়ের সাথে একই সমাজে এই ধারণা পালটায়। এক সময়ে বাল্য বিবাহ বিভিন্ন সমাজে অনুমোদন পেলেও এখন তা পায় না, কারণ সেটা বিজ্ঞানের পরিপন্থী। আর বিজ্ঞান বিরোধী মানেই প্রকৃতি বিরোধী। যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞান নির্ভর সমাজ তাই বিভিন্ন সময়ে ভালোমন্দের সামাজিক ধারণা বা নর্ম বদলায়, বদলায় বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে। সমাজে যদি এই ভালোমন্দের ধারণা মানবিক না হয় তবে অন্তত উন্নত সমাজ সেটা প্রত্যাখ্যান করে।
আমাদের দেশেও বিভিন্ন রাজের সময় ভালোমন্দের সংজ্ঞা বদলায়। বিগত সরকারের সময় উন্নয়ন বলতে বোঝাতো অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। টাকা কামাই যখন ছিল মানুষের সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি তাই উপার্জন কি পথে হচ্ছে সেটা অনেক সময়ই এড়িয়ে যাওয়া হত। ফলে সামাজিক ভাবে সফল হতে একদল মানুষ যে কোনো ধরণের অপরাধ করতে তারা দ্বিধা করত না। বর্তমানে ক্ষমতাসীনরা মনে হয় এক বিশেষ ধরণের নৈতিকতা সামাজিক উন্নয়নের মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করেছে। আর সেই নৈতিক উচ্চতায় পৌছানোর জন্য শুরু হয়েছে নাটক, মাজার, বাউল, নারী ফুটবল - এক কথায় যা মুক্তির স্বাদ দেয় তার চর্চা নিষিদ্ধ না করলেও মবের সাহায্যে ভণ্ডুল করা। নারী সাংবাদিকদের প্রেস কনফারেন্সে প্রবেশ করতে না দেয়া, নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট ভণ্ডুল করা এসব কি আমাদের আফগানিস্তানে তালেবানি শাসন মনে করিয়ে দেয় না? অনেক সমন্বয়ক এখন বলে তারা ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনীর সদস্য ছিল। অবাক হব না যদি শুনি আজকের বৈষম্য বিরোধী এই সব সমন্বয়করা একদিন "আমরা তব তালিবান - বাংলা হবে আফগান" স্লোগান দিয়েছিল।
দুবনা, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
আমাদের দেশেও বিভিন্ন রাজের সময় ভালোমন্দের সংজ্ঞা বদলায়। বিগত সরকারের সময় উন্নয়ন বলতে বোঝাতো অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। টাকা কামাই যখন ছিল মানুষের সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি তাই উপার্জন কি পথে হচ্ছে সেটা অনেক সময়ই এড়িয়ে যাওয়া হত। ফলে সামাজিক ভাবে সফল হতে একদল মানুষ যে কোনো ধরণের অপরাধ করতে তারা দ্বিধা করত না। বর্তমানে ক্ষমতাসীনরা মনে হয় এক বিশেষ ধরণের নৈতিকতা সামাজিক উন্নয়নের মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করেছে। আর সেই নৈতিক উচ্চতায় পৌছানোর জন্য শুরু হয়েছে নাটক, মাজার, বাউল, নারী ফুটবল - এক কথায় যা মুক্তির স্বাদ দেয় তার চর্চা নিষিদ্ধ না করলেও মবের সাহায্যে ভণ্ডুল করা। নারী সাংবাদিকদের প্রেস কনফারেন্সে প্রবেশ করতে না দেয়া, নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট ভণ্ডুল করা এসব কি আমাদের আফগানিস্তানে তালেবানি শাসন মনে করিয়ে দেয় না? অনেক সমন্বয়ক এখন বলে তারা ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনীর সদস্য ছিল। অবাক হব না যদি শুনি আজকের বৈষম্য বিরোধী এই সব সমন্বয়করা একদিন "আমরা তব তালিবান - বাংলা হবে আফগান" স্লোগান দিয়েছিল।
দুবনা, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
Comments
Post a Comment