রায়

মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ। কিন্তু মানুষ তো শুধু মানুষ নয়, সে বিভিন্ন দোষ গুণের সমন্বয়ে গঠিত। তাই আমরা যখন কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির কথা ভাবি তখন তার বিভিন্ন দোষ গুণের কথাই ভাবি। এভাবেই আমাদের চোখে কেউ যুক্তিবাদী, কেউ মৌলবাদী, কেউ বামপন্থী, কেউ ডানপন্থী। গতকাল থেকে ফেসবুকে ওয়াসার এমডির যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। সত্যমিথ্যা বলতে পারব না। তবে বর্তমানে সাংবাদিকরা নিজেরাই যে রকম তিলকে তাল করে আর সত্যতা যাচাই না করে কোন দল বা ব্যক্তির স্বার্থে রিপোর্ট করে তাই চোখ বন্ধ করে তাদের রিপোর্টের সত্যতায় বিশ্বাস করা বোকামি। জবাবদিহিতা যেখানে অনুপস্থিত সেখানে খুব কম লোকই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে আগ্রহী। তবে অবাক লাগছে দেখে যে অনেক যুক্তিবাদী মানুষও এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে রায় দিতে শুরু করেছে। এদের অনেকেই বিভিন্ন ভাবে ওয়াসার এমডির সতীর্থ, সহযাত্রী। এটা কি ঈর্ষা থেকে? ব্যক্তিগত কোন হিসাব নিকাশ থেকে? কারণ যদি ন্যায় বিচারের দাবি থেকে এসব করা হয় তাহলে অন্তত বিচারের রায় বেরুনো পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভালো। নন্দিত কাউকে নিন্দিত বানানো সহজ, উল্টোটা করতে অনেক ঘষামাজা করতে হয়। আসুন আরেকটু সহিষ্ণু হই।

দুবনা, ১০ জানুয়ারি ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা