আগুন

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে এই যুদ্ধে ইউক্রেন প্রচুর লোক হারাচ্ছে। ঠিক কত লোক সেটা না বললেও সেই সংখ্যা অনেক। এভাবেই' ইউক্রেন পশ্চিমা বিশ্বের জয়ের জন্য আত্মোৎসর্গ করছে। এখন পশ্চিমা বিশ্বের সামনে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে। বিশ্বে খুব কম জাতিই আছে যারা এত জীবন, এত ভূমি, এত সময় উৎসর্গ করতে পারে শত্রুর বিরুদ্ধে জয়ের জন্য।


ইউক্রেনের আরেক নেতা বলেছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বের এই যুদ্ধে আমরা জীবন দিচ্ছি। জানি পশ্চিমা সাহায্য ছাড়া আমাদের টিকে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু এটা ওদের যুদ্ধ। আমরা সেই যুদ্ধের কাঁচামাল সরবরাহ করছি। ওরা আমাদের অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে দায়বদ্ধ। ওরা এই সুযোগে নিজেদের অস্ত্রের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে নিতে পারে।

এসব কথা শুনে আমার একটা উপমা মনে এলো। ধরুন আপনার প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন লাগলো। আপনি সেটা নেভাতে সাহায্য না করে নিজের ঘরের সব আবর্জনা সেই আগুনে পোড়ালেন। এতে আপনাকে কষ্ট করে কোথাও আবর্জনা বয়ে নিয়ে নষ্ট করতে হল না। ফলে খরচ বেঁচে গেল। পশ্চিমা বিশ্ব এখন সেটাই করছে। দীর্ঘ দিনের জমে থাকা অস্ত্র যা ধ্বংস করতে হত আর সেজন্যে ব্যাপক অর্থ ব্যয় হত - এখন সেটা যুদ্ধে ব্যবহার করা যাচ্ছে, শুধু তাই নয় এ জন্যে ইউক্রেনের পকেট থেকে বড় অংকের টাকাও পাওয়া যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত পরীক্ষাগারে নয়, যুদ্ধের মাঠে নতুন অস্ত্রের কার্যকারিতা যাচাই করে নেওয়া যাচ্ছে। আর এ সব করা যাচ্ছে গণতন্ত্র আর মানবতা রক্ষার নামে।

পশ্চিমা বিশ্ব সব সময়ই বনিক ছিল। এমনকি বন্ধুত্বের ক্ষেত্রেও।

দুবনা, ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ 




Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা