খেলা খেলা সারা বেলা

 

ইউরোপ আমেরিকার অনেক রাজনৈতিক পর্যালোচকরা বলছে যদি জাপারঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রে আক্রমণ হয় তাতে ইউরোপ ক্ষতিগ্রস্থ হবে আর সেক্ষেত্রে ন্যাটো পঞ্চম আরটিকেল ব্যবহার করবে অর্থাৎ এটা ন্যাটোর উপর আক্রমণ বলে সবাই যুদ্ধে নামবে। কিন্তু কার বিরুদ্ধে? ওখানে আক্রমণ করছে ইউক্রেন। এটা বুঝতে মাথায় মুরগির ব্রেনই যথেষ্ট। কিন্তু ওরা বুঝবে না। কারণ রাশিয়া আগে থেকেই দায়ী। এতে কি হচ্ছে? ইউক্রেন তো সেটাই চাইছে। ন্যাটোকে যুদ্ধে নামাতে আর ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোকে মরতে। কেননা ভাবার কারণ নেই যে এমন যুদ্ধ লাগলে কেউ রেহাই পাবে। আসলে শেষ পর্যন্ত যেটা দাঁড়াবে তা হল ইউক্রেন হবে ন্যাটোর জন্য ট্রয়ের ঘোড়া, একিলিসের গোড়ালি - সব। ইতিমধ্যে ব্রিটেনের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বলেছে তাদের সৈন্যদের প্রস্তুত হতে আর পরিবার থেকে বিদায় নিতে। এতদিন যে ব্রিটেনের সৈন্যরা ইউক্রেনে ছিল না তা নয়, তবে যুদ্ধ করেছে বেনামে। এখন তারা স্বনামে আসতে চাইছে। কুরস্ক পারমাণবিক কেন্দ্রের পাশে যে সন্ত্রাসী কাজ করা হয় তাতে মি ৫ এর চিহ্ন পাওয়া যায়। আলেক্সান্দর দুগিনের মেয়ে দারিয়ার মৃত্যুতে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার হাত আছে, গাড়িতে বোমা বসিয়েছে ইউক্রেনের নাতালিয়া ভভক। সে ইতিমধ্যে এস্তনিয়ায় পালিয়ে গেছে। এক কথায় যুদ্ধ এখন নতুন অবস্থায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তবুও রাশিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুদ্ধের ইন্টেন্সিভিটি না বাড়াতে। প্রথমত তাতে লোকক্ষয় কম হবে। যুদ্ধের ফ্রন্ট আরও সরিয়ে নিলে আমেরিকা আরও দূর পাল্লার অস্ত্র দেবে, তাই সেটাও সমাধান হয়। অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে পারলেই একটা সুরাহা হবে। তাই যুদ্ধ চলবে ধীর গতিতে। এতে ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা বিশ্বের জন সমর্থন কমবে। মানুষ ইতিমধ্যে চরম দুর্ভোগে আছে। তাই সেটাকেই দীর্ঘায়িত করতে হবে। কারণ ভেতরে প্রতিবাদী কণ্ঠ গড়ে না তুলতে পারলে বাইরে থেকে কিছু বদলানো যাবে না। তবে কথা একটাই। সময় মত লাগাম টেনে না ধরতে পারলে রাশিয়া ইউরোপ আমেরিকা সবাই কয়েক মাসের মধ্যের বিস্মৃতির আড়ালে হারিয়ে যাবে। রোম সাম্রাজ্যের কথা আমরা মনে করি, কিন্তু এদের কথা মনে রাখার মত আর কেউ থাকবে না। আমাদের বাংলাদেশের কোন সমস্যা নেই। আমরা তো আগে থেকেই স্বর্গে গিয়ে বসে আছি।

দুবনা, ২২ আগস্ট ২০২২ 



Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা