টানাটানি
গতকাল দানিয়েৎস্কে নিহত স্থানীয় এক মহিলা কম্যান্ডার অল্গা কাচুরার, যাকে পরবর্তীতে রাশিয়ার বীর বলে ঘোষণা করা হয়েছে, শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে ইউক্রেনের বোমা হামলায় অনেকেই নিহত ও আহত হয়েছে। যদিও ইউক্রেন বলছে যে রাশিয়া নিজেই নিজের উপর আক্রমণ করেছে - তবে সেটা যে পাগলের প্রলাপ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সন্দেহ নেই যে আমেরিকা আর ইংল্যান্ড এ ব্যাপারে অবহিত ছিল। এর আগে অনেক বার ইরাক ও আফগানিস্তানে মার্কিন সেনারা বিয়ে, শেষকৃত্য সহ বিভিন্ন বেসামরিক জমায়েতে আক্রমণ করেছে, তাই এ কাজ যে তাদের অনুভূতিতে আঘাত করে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের দেশে ধর্মীয় অনুভূতির মত পশ্চিমা বিশ্বে মানবিক অনুভুতিও একচোখা।
ইতিমধ্যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কিয়েভের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করার অভিযোগ এনেছে স্কুল, কলেজ, বাসস্থানে ইত্যাদি এলেকায় ভারী অস্ত্র মোতায়েন করার জন্য। এতে কিয়েভের শাসকেরা ক্ষেপে গিয়ে অ্যামনেস্টির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। আসলে অন্যায়কে প্রশ্রয় দিলে শেষ পর্যন্ত নিজেদেরই যে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয় সেটার প্রমাণ ইউরোপ এখন বার বার পাচ্ছে। আর এর ফলে ইউক্রেনকে ইউরোপে পরিণত করার পরিবর্তে ইউরোপ আর আমেরিকায় ধীরে ধীরে ইউক্রেনে পরিণত হচ্ছে।
অসহায়কে বাঁচানোর চেষ্টা করে হাত বাড়িয়ে দেয়া ভাল, তবে সেটা যদি নিঃস্বার্থ না হয় তবে যে ডুবছে টেনে তুলার পরিবর্তে নিজের পড়ে গিয়ে মরে যাবার সম্ভাবনা সব সময়ই থেকে যায়।
Comments
Post a Comment