স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতা

আমেরিকায় শুনলাম কোন এক স্কুলে স্যাটানিক টেম্পল তাদের কর্মকাণ্ড চালাবে। সমান অধিকারের অজুহাতে যে কেউ নিজের আদর্শ প্রচার করতেই পারে। সে ক্ষেত্রে আরটি কি দোষ করল? তার মানে সমান অধিকারের দেশে সবাই সমান নয়। অন্যদিকে পৃথিবীতে মত ও পথের শেষ নেই। তবে অনেক মত ও পথ সামাজিক ভাবে ক্ষতিকর। এসব আইডিয়ার অধিকাংশই যুগ যুগ ধরে ছিল, থাকবে। তবে সেগুলো ছিল আত্মগোপনে। সমাজের বিবর্তনে নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কোন কোন আইডিয়া সামনে এসেছে, কোন আইডিয়া হারিয়ে গেছে। এসবই যাকে বলে ন্যাচারাল সিলেকশন। কিন্তু স্যাটানিক টেম্পল বা এ ধরনের যেকোন আইডিয়া যেমন বিস্টিয়ালিটি, পেডোফিলিয়া ইত্যাদি জোর করে চাপিয়ে দেয়া, কোন মতেই ন্যাচারাল সিলেকশন নয়। তাই দিনের শেষে এসব কতটুকু সুফল আর কতটুকু কুফল বয়ে আনবে মানব সভ্যতার জন্য এটা শুধু ভবিষ্যতই বলতে পারবে। স্বাধীনতা আর স্বেচ্ছাচারিতার সীমানা খুবই সুক্ষ্ম। চিনতে ভুল করলে উচ্চ মূল্য দিতে হবে সমাজকে।

মস্কো, ৩১ আগস্ট ২০২২



Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা