দ্বিচারিতা

বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বাহান্ন বা একাত্তরের ইতিহাস ঠিকমত বলতে না পারলে অনেকেই গেল গেল বলে শোরগোল তোলে। এটা শুধু বাংলাদেশ নয় সব দেশের ক্ষেত্রেই সত্য। অথচ ইউরোপ আমেরিকার অনেকেই যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে বলে অথবা এসব দেশে সরকারি ভাবে সেই ইতিহাস বিকৃত করে প্রচার করা হয় তখন এদের অনেকেই এসব মিথ্যা জেনেও লুফে নেয়। ইউরোপের কিছু কিছু দেশে, বিশেষ করে ইউক্রেনে ও বাল্টিকের দেশগুলোতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যে ইতিহাস সরকারি ভাবে প্রচার করা হয় সেটার দেশীয় উপমা হবে এরকম

১৯৭১ সালে রাজাকার আলবদর বাহিনী এদেশে ইসলামের শাসন বজায় রাখতে ও দেশের মানুষকে ভারতীয় তথা হিন্দুদের প্রভাবমুক্ত করার জন্য বীরের মত লড়াই করে।

কারণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এই বর্ননা আর হিটলারের সহযোগী বান্দেরা ও বাল্টিকের নাজীরা আসলে গণতন্ত্রের সৈনিক - দুটোই একই রকম মিথ্যা।

তারপরেও দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সত্যিকারের বর্ননায় বিশ্বাসী যেসব মানুষ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসের পশ্চিমা বর্ননায়, যেখানে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও হিটলারের জার্মানিকে একই পাল্লায় ফেলা হয়েছে, বিশ্বাসী - তারা আসলে সুবিধাবাদী। আর এটাই হয়তো সুবিধাবাদের চরম রূপ। 

দুবনা, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা