জনতা

বিভিন্ন দেশে যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত রাশিয়ান ট্যাঙ্ক প্রদর্শনীর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য রাশিয়া ও রুশ সেনাদের হেয় করা আর একই সাথে পশ্চিমা বিশ্বে ইউক্রেনের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা। কারণ, সত্য যেটা তা হল, ইউক্রেন বাহিনী তথা আমেরিকা সহ তার ৫১ টা আজ্ঞাবাহী দেশ কোন ভাবেই রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে পারছে না। যুদ্ধের ফলে এসব দেশে জ্বালানী সহ বিভিন্ন সংকট দেখা দিয়েছে। জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য, দোকানে সীমিত সরবরাহ, বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি, যুদ্ধের ফলে মানুষের মধ্যে ক্লান্তি আর ইউক্রেনের তো বটেই, এ সমস্ত দেশের এস্টাব্লিসমেন্টের প্রতি জনসমর্থন হ্রাস। তাই এই ট্যাঙ্ক দেখিয়ে আবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ও ইউক্রেনের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করা, শেষ ইউক্রেনিয়ান পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সেসব ট্যাঙ্ক ফুলে ফুলে ঢেকে দিচ্ছে, শ্রদ্ধা জানাচ্ছে রুশ সেনাদের। এভাবেই তারা যুদ্ধের বিরুদ্ধে নিজেদের মতামত প্রকাশ করছে। ধনী আর দরিদ্রদের মতই ইউরোপের এলিট আর জনসাধারণের মধ্যে মহাসাগর সম দূরত্ব। সেটা শুধু বাড়ছেই। গণতন্ত্রের কথা বললেও জনগণের মতামতকে সেখানে আজ পদদলিত করছে গণতন্ত্র, মানবতা এসব দেবদেবীর পায়ে অর্ঘ্য দানকারী পুরোহিতেরা।

দুবনা, ০২ মার্চ ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা