বাটপার

ইউরোপে শুনি স্বাধীনতা অবাধ হয়েছে, সে আর দায়িত্ব কর্তব্যের ধার করা ধারে না, ধার ধারে না প্রাকৃতিক নিয়ম কানুনের। এখন সেখানে মানুষের লিঙ্গ আর বায়োলজিক্যাল নয়, সেটা সাইকোলজিক্যাল। মানে চাইলে আপনি পুরুষ, চাইলে নারী অথবা অন্য যেকোন লিঙ্গের কেউ। আইন তো নয় এ যেন আলাদীনের চেরাগ। চাওয়াটাই মূল। শুনলাম সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এর বিপক্ষে, তবুও কিছু করতে বা বলতে পারছে না। আমলারা তাদের পাত্তাই দেয় না। অথচ কত সহজেই আমলাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। কিভাবে?

ইয়েলৎসিনের আমলে কি একটা আইনের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়। কি করা? মায়েরা তখন ছোট বাচ্চাদের স্ট্রলারে বসিয়ে জেব্রা ক্রসিং এর রাস্তায় নামে। একবার ওদিকে যায় আবার এদিকে আসে। এভাবে কয়েকজন মা আসছে আর যাচ্ছে। বিশাল ট্র্যাফিক জ্যাম। ড্রাইভাররা বিরক্ত হলেও এদের সমর্থন করছে। শেষ পর্যন্ত আমলারা বাধ্য হয়েছে এদের কথা শুনতে। এখন ভাবুন কোন শহরের সবাই নিজেদের ছেলে বা মেয়ে ভাবতে শুরু করল। কয়েকদিন পরে সেখানে সব থেমে যাবে। এক শহরে না হলে একসাথে অনেক শহরে, এমনকি দেশ জুড়ে। আইনের বাধা নেই। 
আচ্ছা যে মেয়েরা নিজেদের ছেলে বলে ভাবে তারা কি বেতন সেভাবেই পায়? অথবা শ্রমিক যদি নিজেকে মালিক ভাবে? নাকি সবার সব ভাবার স্বাধীনতা নেই? সব বাটপার আর শোষকের দল।

মস্কো, ০৬ মার্চ ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা