সত্য মিথ্যা
ফেসবুকে বিভিন্ন জনের স্ট্যাটাস পড়ে জানলাম প্রথম আলোর এক রিপোর্টারকে গ্রেফতার করা হয়েছে আর পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের কাজ জনগণকে সত্য জানানো। সেটা করতে গিয়ে তাদের যদি সরকারের পক্ষ থেকে হেনস্থা করা হয় সেটা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। এ ধরণের কাজ নিন্দনীয়। তবে এখানে কী ওয়ার্ড - সত্য। কারণ বিগত কয়েক বছর যাবত দেখেছি কীভাবে ফেইক নিউজ তৈরি করে সেটা মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয় আর সেটার ভিত্তিতে পশ্চিমা বিশ্ব তাদের অপছন্দের দেশ ও সরকারের উপর চড়াও হয়। সিরিয়ার শিশুদের ব্যবহার করে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ অনেকেরই মনে আছে। বুচার ঘটনা পশ্চিমা মাধ্যম ফলাও করে প্রচার করলেও কোন কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি। এসব তো আজকের দিনের কথা। সেই সুদূর ১৯৭৪ সালেও এক মেয়েকে জাল পরিয়ে ছবি তুলে বিশ্ববাসীকে বাংলার দুর্ভিক্ষের ছবি দেখানো হয়েছিল। এমনটা ঘটলে দেখালে আপত্তি নেই। সমস্যা তখনই যখন সেন্সেশনের জন্য লোকজনকে দিয়ে এইসব রোলে অভিনয় করানো হয়।
দীর্ঘ দিনের কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এক সাংবাদিক লিখলেন যদি ভুল হয় সে দায়িত্ব সাংবাদিকের নয়, বার্তা সম্পাদক অথবা পত্রিকার সম্পাদকের। কিন্তু আমার প্রশ্ন অন্য জায়গায় - সিরিয়ায় সেসব টেইলর মেড ভিডিও তৈরি করেছিল এক গ্রুপ আর সংবাদ প্রকাশ করেছিল বিবিসি। অবশ্যই বিবিসির উচিৎ ছিল ঘটনার সত্যতা যাচাই করা। কিন্তু ফেইক নিউজ তৈরি করার দায়ে সেই গ্রুপ কি দায়ী নয়? কলিন পাওয়েলের টেস্ট টিউব কে সামনে রেখে বিবিসিই তো জনমত গড়ে তুলেছিল ইরাক আক্রমণের পক্ষে। এখানে কি শুধু বিবিসি দায়ী নাকি কলিন পাওয়েলও। আমি সঠিক জানি না যে ঐ সাংবাদিকের কোন দোষ আছে কিনা। কিন্তু যদি বার্তা সম্পাদক বা সম্পাদক দোষী হয় এবং সেটা যদি হয় যদি ঐ সাংবাদিকের মিথ্যা রিপোর্ট করার কারণে তাহলে সেও কি দোষের ভাগী হবে না? আমার মনে হয় - আমার দাবি করা উচিৎ ন্যায় বিচারের জন্য। আমি যেটা ন্যায় মনে করি সেটাই সত্য - অন্য সব মিথ্যে এমন তো হয় না। এই ঘটনায় সরকারের পাশাপাশি সাংবাদিকদের জবাব্দিহিতায় আনার প্রশ্ন চলে আসে। কেন না সরকার যেমন যা খুশি তাই করতে পারে না, সাংবাদিক বা সাধারণ মানুষও সেটা করতে পারে না। আমাদের মনে রাখা দরকার এটা শুধু আমাদের দেশেই নয় - বিশ্বের দেশে দেশে এটা ঘটছে। জুলিয়ান আসাঞ্জ এখনও জেলে বন্দী।
দুবনা, ৩০ মার্চ ২০২৩
দীর্ঘ দিনের কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এক সাংবাদিক লিখলেন যদি ভুল হয় সে দায়িত্ব সাংবাদিকের নয়, বার্তা সম্পাদক অথবা পত্রিকার সম্পাদকের। কিন্তু আমার প্রশ্ন অন্য জায়গায় - সিরিয়ায় সেসব টেইলর মেড ভিডিও তৈরি করেছিল এক গ্রুপ আর সংবাদ প্রকাশ করেছিল বিবিসি। অবশ্যই বিবিসির উচিৎ ছিল ঘটনার সত্যতা যাচাই করা। কিন্তু ফেইক নিউজ তৈরি করার দায়ে সেই গ্রুপ কি দায়ী নয়? কলিন পাওয়েলের টেস্ট টিউব কে সামনে রেখে বিবিসিই তো জনমত গড়ে তুলেছিল ইরাক আক্রমণের পক্ষে। এখানে কি শুধু বিবিসি দায়ী নাকি কলিন পাওয়েলও। আমি সঠিক জানি না যে ঐ সাংবাদিকের কোন দোষ আছে কিনা। কিন্তু যদি বার্তা সম্পাদক বা সম্পাদক দোষী হয় এবং সেটা যদি হয় যদি ঐ সাংবাদিকের মিথ্যা রিপোর্ট করার কারণে তাহলে সেও কি দোষের ভাগী হবে না? আমার মনে হয় - আমার দাবি করা উচিৎ ন্যায় বিচারের জন্য। আমি যেটা ন্যায় মনে করি সেটাই সত্য - অন্য সব মিথ্যে এমন তো হয় না। এই ঘটনায় সরকারের পাশাপাশি সাংবাদিকদের জবাব্দিহিতায় আনার প্রশ্ন চলে আসে। কেন না সরকার যেমন যা খুশি তাই করতে পারে না, সাংবাদিক বা সাধারণ মানুষও সেটা করতে পারে না। আমাদের মনে রাখা দরকার এটা শুধু আমাদের দেশেই নয় - বিশ্বের দেশে দেশে এটা ঘটছে। জুলিয়ান আসাঞ্জ এখনও জেলে বন্দী।
দুবনা, ৩০ মার্চ ২০২৩
Comments
Post a Comment