মানুষ ও বাঘ

ইদানিং রাশিয়ার দূর-প্রাচ্যে আমুর বাঘের উৎপাত বেড়েছে। প্রায় বিলিন হয়ে যাওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাঘদের পুনোরোদ্ধারে রুশ সরকার প্রায় এক যুগ ধরে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আজ ওরা বিপদমুক্ত। সংখ্যায় অনেক। 

এবার প্রচুর বরফপাতের কারণে গহণ বনে খাদ্যাভাব। তাই ওরা মাঝেমধ্যে আশেপাশের গ্রামে ঢুকে গৃহস্থের গরু, ছাগল, কুকুর এসব চুরি করে। অবশ্য ওরা জানে না যে এটার নাম চুরি আর চুরি করা আইনত দন্ডনীয়। 

সুন্দরবনে বাঘ বা হরিণ বা বানর যখন খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায় ও জানে না ও কোন দেশের, জানে না কোন দেশের ঘাস ওরা খাচ্ছে বা কোন দেশের প্রাণী ওরা শিকার করছে। তেমনি সাইবেরিয়ার পাখিরা জানে না ওরা শীতে যেখানে এলো উষ্ণতার খোঁজে সেটা বাংলাদেশ বা আফ্রিকা। ওরা প্রকৃতির সন্তান, সারা পৃথিবীটাই ওদের। আমুর বাঘেরাও সেটাই মনে করে।

আমুর বাঘ রাশিয়ায় লাল কার্ডধারী। না কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য নয়। রক্ষিত (এটা ওদের উপাধি নয়)। ওদের হত্যা করা কোন কোন জায়গায় গোহত্যা করার মতই অপরাধ। তাই বাঘ তাড়ানোর জন্য বিশেষ গুলি ব্যবহার করে ওদের অজ্ঞান করা হয়। এরপর বাঘের থরো মেডিক্যাল চেক আপ করে জনপদ থেকে অনেক দূরে নির্বাসন দেয়া হয়।

বাঘ কি আর সাধে বাঘ। এটা শুধু মানুষ দলাদলি, ভাগাভাগি করে, প্রকৃতিকে ধ্বংস করে। বাঘেরা করে না, অন্য প্রাণীরাও না। 

দুবনা, ১২ মার্চ ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা