সমাধি

অতীত কালে রাজ্য বা রাষ্ট্র গঠনের অন্যতম মূল কারণ ছিল নিরাপত্তা। আমরা যা কিছু করি সেটা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে। ফসল ফলাই, পড়াশুনা করি, বাড়িঘর তৈরি করি - এ সবই নিজের ও আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যতের কথা ভেবে। রাষ্ট্র যখন সেই নিরাপত্তাটুকু দিতে ব্যর্থ হয় তখন তাকে রাষ্ট্র বলা যায় না। সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় জঙ্গলের শাসন। এটা ঠিক, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই প্রতিদিনই কোন না কোন দুর্ঘটনা ঘটে, অনেক লোক মারা যায়। কিন্তু যখন কোন আক্রমণ সিস্টেমেটিক আকার ধারণ করে সেটা সেটা উপেক্ষা করা যায় না। বলা হয়ে থাকে কোন ঘটনা যদি একবার ঘটে তবে সেটা হঠাৎ ঘটে যাওয়া, দু' বার হলে সেটা কোইনসিডেন্স আর তিন বা তার বেশি বার হলে সিস্টেমেটিক। দেশে সংখ্যালঘু, নারী, বিশেষ করে সংখ্যালঘু নারীদের উপর আক্রমণ সিস্টেমেটিক রূপ ধারণ করছে। আর সেটা হচ্ছে রাষ্ট্রের নীরব সমর্থনে। সমর্থন এ কারণে যে প্রায় কোন ঘটনারই সঠিক তদন্ত ও বিচার হচ্ছে না। এই বিচারহীনতাই দুর্বৃত্তদের অপরাধ করার ব্ল্যাঙ্ক চেক হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে। মুক্তা রানী হত্যা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার আরেকটা প্রমাণ। রাষ্ট্রের সমাধিতে আরও একটি ইট।

দুবনা, ০৩ মে ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা